ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

২৫ মার্চ, ২০১৭ ১৭:৪২

পাকিস্তানের ইসলামাবাদে ‘গণহত্যা দিবস’ পালন

যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পাকিস্তানের ইসলামাবাদে ‘গণহত্যা দিবস’ পালন করা হয়েছে।

এ উপলক্ষে শনিবার সকালে চ্যানসারিতে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ হাইকমিশন। সভার শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে নিহতদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাতে নিরস্ত্র বাঙালী ছাত্র-যুবকসহ আবাল-বৃদ্ধ-বনিতার উপর পাকিস্তানি বাহিনীর অতর্কিত হামলা ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, পাকিস্তানি বাহিনীর এই বর্বরতা ও নৃশংস গণহত্যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সংঘটিত অন্য যে কোন গণহত্যার চেয়ে ভয়াবহ।

আলোচনা সভায় হাইকমিশনার তারিক আহসান ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে নিরীহ ও নিরস্ত্র বাঙ্গালীদের উপর বিনা প্ররোচনায় বর্বরোচিত হামলা ও হত্যাযজ্ঞ চালানোর জন্য পাকিস্তান দখলদার বাহিনীর তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, এ ঘটনার পরই বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী সকল শহিদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা জানান।

তারিক আহসান ১৯৪৮ সালের জেনোসাইড কনভেনশনের দেয়া গণহত্যার সংগার ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে সংঘটিত ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ গণহত্যার সংজ্ঞার সাথে সম্পূর্ণভাবে মিলে যায়। তিনি বলেন, আজকের এই দিনে সবাইকে গভীরভাবে উপলব্ধি করতে হবে যে,কত বড় আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। হাইকমিশনার ‘গণহত্যা দিবস’এর মর্মবাণী সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে হবে যেন গণহত্যার বিপক্ষে জনমত সৃষ্টি হয় এবং কোথায়ও আর কখনো গণহত্যা সংঘটিত না হয়।

আলোচনা সভার শেষ পর্যায়ে ১৯৭১ সালের গণহত্যার উপর নির্মিত একটি প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ ও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী উপস্থিত ছিলেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত