বিবিসি বাংলা

১৪ এপ্রিল, ২০১৭ ১৮:৩৪

মাদার অফ অল বোম্বস: কতটা শক্তিশালী আর ভয়াবহ?

Getty Images

বলা হচ্ছে এটি আসলে মাদার অফ অল বোম্বস। বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো এ বোমার ব্যবহার করলো যুক্তরাষ্ট্র, যার টার্গেট ছিলো আফগানিস্তানের একটি এলাকা, যুক্তরাষ্ট্রের দাবি সেটি ইসলামিক স্টেট জঙ্গিদের একটি ঘাঁটি।

এটিকেই বিশ্বের সবচেয়ে বড় বোমা বলা হচ্ছে। কিন্তু কেন এ বোমাকে সামরিক পরিভাষায় মাদার অফ অল বোম্বস বলা হচ্ছে? এর বিশেষত্বই বা কি?

প্রথমত, এ বোমাটি যত ধরনের বোমা (পরমাণু বোমা ছাড়া) এ যাবতকাল ব্যবহার করা হয়েছে তার মধ্যে এটি সবচেয়ে বড়ো, যা লম্বায় ৩০ ফুট বা ৯ মিটার।

বিস্ফোরকে ঠাসা ৯ হাজার ৮০০ কেজি ওজনের এ বোমাটি আসলে তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়েছিলো ইরাক যুদ্ধকে সামনে রেখে, যদিও সে যুদ্ধে এ বোমা ব্যবহারের প্রয়োজন হয়নি যুক্তরাষ্ট্রের।

আর ভয়াবহতার দিক থেকেও এ বোমাটি ভয়ংকর। কারণ এক মাইল এলাকার মধ্যে যে কোন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার পর এটি ১৮ হাজার পাউন্ড টিএনটি ক্ষমতাসম্পন্ন বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে।

অনেকটা কলম আকৃতির বোমাটির সামনের দিকটি ধারালো আর দুটো পাখাও রয়েছে এর শরীরে। আর বাইরের দিকটা অ্যালুমিনিয়ামে মোড়ানো যা বিস্ফোরণের মাত্রাকে ছড়িয়ে দিতে সহায়তা করে।

ভূমিতে সবকিছু ধ্বংস করে দিতে সক্ষম এ বোমাটি, এমনটি ভূগর্ভস্থ বাঙ্কার বা টানেলকেও ধ্বংসস্তুপে পরিণত করে দিতে পারে মূহুর্তের মধ্যেই। একেকটি এ ধরনের বোমা তৈরির জন্য ব্যয় হয় প্রায় ১৬ মিলিয়ন ডলার।

এর উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো বিস্ফোরণের ভয়াবহতা এক ধরণের আতঙ্ক তৈরি করতে সক্ষম।

আলবামাভিত্তিক অ্যারোনটিকস কোম্পানি ডায়নেটিকসর তৈরি করা বোমাটির প্রথম পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিলো ২০০৩ সালে ফ্লোরিডায়। তবে পারমানবিক উপাদান না থাকায় প্রেসিডেন্টের অনুমোদন ছাড়াই এ বোমা ব্যবহার করতে পারে সামরিক কর্তৃপক্ষ।

তবে এরপরেও এটি কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের হাতে থাকা বোমাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভারী বোমা নয়। আর এই মাদার অফ অল বোম্বস এর বিপরীতে রাশিয়া বানিয়েছে ফাদার অফ অল বোম্বস, প্রযুক্তির ভাষায় যাকে থার্মোবারিক অস্ত্র বলা হচ্ছে যা দু পর্যায়ে বিস্ফোরণ ঘটায়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত