সিলেটটুডে ডেস্ক

২৭ মে, ২০১৭ ০১:০৭

ভূপেন হাজারিকার নামে দক্ষিণ এশিয়ার দীর্ঘতম সেতুর নামকরণ

প্রয়াত সংগীতশিল্পী ভূপেন হাজারিকা জন্মেছিলেন আসামের রাজধানী গুয়াহাটি থেকে ৫৪০ কিলোমিটার দূরে সাদিয়াতে। আর এখানেই দক্ষিণ এশিয়ার দীর্ঘতম সেতুর উদ্বোধন করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ সেতুর নামকরণ করলেন প্রয়াত এই শিল্পীর নামে।

শুক্রবার (২৬ মে) আসামে ব্রহ্মপুত্রের শাখা নদী লোহিতের ওপর নির্মিত ৯ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ দুই লেনের ঢোলা-সাদিয়া সেতু (আগের নাম) উদ্বোধন করেন মোদি। এসময় তিনি বলেন, ‘আপনারা গত ৫ দশক ধরে এ সেতুর জন্য অপেক্ষা করেছেন। আজ আপনাদের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা অটল বিহারী বাজপেয়ি ২০০৪ সালের নির্বাচনে জয় পেলে ১০ বছর আগেই এ সেতুর উদ্বোধন হত।’

মোদি বলেন, ‘এই ভূমিতে ভূপেন হাজারিকা জন্মেছেন। অসাধারণ গান উপহার দিয়ে তিনি পুরো ভারতবাসীর মন জয় করেছেন। তার নামে এ সেতুর নামকরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এখন থেকে এর নাম হবে ভূপেন হাজারিকা সেতু।’

আসামের রাজধানী গুয়াহাটি থেকে ৫৪০ কিলোমিটার দূরে সাদিয়া থেকে শুরু হয়ে সেতুটির অন্য প্রান্ত নামছে অরুণাচলের রাজধানী ইটানগর থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে ঢোলায়। এ সেতুর কারণে আসাম ও অরুণাচল প্রদেশের মধ্যকার দূরত্ব কমবে অন্তত ৪ ঘণ্টার।

২০১০ সালে এ সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ভারতের সড়ক পরিবহন ও হাইওয়ে মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে এবং নবযুগ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) ভিত্তিতে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। ব্যয় হয় ৯৩৮ কোটি রুপি (প্রায় ১ হাজার ১৮০ কোটি টাকা)।

এ সেতুর বাণিজ্যিক ও সামরিক গুরুত্ব রয়েছে বেশ। এ সেতুর ওপর দিয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ট্যাংক ও গোলন্দাজ বহর চলতে পারবে অনায়াসে। যা চীন সীমান্তবর্তী অরুণাচল প্রদেশে ভারতীয় বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। তাই চীনের সঙ্গে অরুণাচলের দখল নিয়ে কখনো যুদ্ধ হলে ভারতীয় বাহিনী সহজেই সীমান্তে চলাচল করতে পারবে।

সূত্র: দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া ও এনডিটিভি

আপনার মন্তব্য

আলোচিত