নিজস্ব প্রতিবেদক

২৫ এপ্রিল, ২০২৪ ২০:৫৭

উপজেলা নির্বাচন: সিলেটে আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগ

সিলেট বিভাগে চার ধাপে ৩৭ উপজেলায় নির্বাচন হবে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া বেশির ভাগই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী। হাতেগোনা কয়েকটি উপজেলায় বিএনপি ও স্বতন্ত্ররা প্রার্থী হয়েছেন। দলীয় নির্দেশনা মেনে ভোটে নেই জামায়াতের নেতারা। প্রতিটি উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী দলটির নেতারা হওয়ায় নির্বাচন হয়ে পড়েছে একপেশে।

নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, প্রথম ধাপে সিলেট বিভাগের ১১ উপজেলায় ভোট গ্রহণ আগামী ৮ মে। এর মধ্যে সিলেটে চার, সুনামগঞ্জে দুই, মৌলভীবাজারে তিন ও হবিগঞ্জের দুই উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আছেন দলটির একাধিক নেতা। মঙ্গলবার প্রতীক পেয়ে মাঠে নেমে শক্তির জানান দিয়েছেন তারা। এতে আওয়ামী লীগের পদধারী অনেকেই বিপাকে পড়েছেন।

সিলেটের চার উপজেলায় ২৪ চেয়ারম্যান প্রার্থীর ১৭ জনই আওয়ামী লীগের। তারা কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। সদরে প্রার্থী হননি বর্তমান চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ। কিন্তু ছয় প্রার্থীর চারজনই ক্ষমতাসীন দলের। শ্রমিক লীগ সিলেট জেলা সভাপতি এজাজুল হক মোটরসাইকেল প্রতীকে প্রচার চালান। তাকে টেক্কা দিতে আওয়ামী লীগ নেতা সুজাত আলী রফিক, সামসুল ইসলাম ও মিল্লাত আহমদ চৌধুরী বাড়ি বাড়ি ভোট চাইছেন। বাকি দু’জনের মধ্যে ডা. খলিলুর রহমান ও আহাদ মিয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।

গোলাপগঞ্জে তিন প্রার্থীই আওয়ামী লীগের; কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। বর্তমান চেয়ারম্যান ও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মঞ্জুর কাদির শাফি এলিম, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শাহিদুর রহমান চৌধুরী জাবেদ ও ব্রাজিল যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান উজ্জ্বল ভোটারের দ্বারে দ্বারে গিয়ে দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় লড়াই হবে আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক তেতলী ইউপি চেয়ারম্যান মইনুল ইসলাম, মোহাম্মদ জুয়েল আহমদ, বদরুল ইসলাম ও শামীম আহমদের মধ্যে। এ ছাড়া নাট্যাভিনেতা সাহেদ মোশারফ এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন।

বিশ্বনাথে ১০ প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগের পাঁচজন; বাকিরা বিএনপির। যুক্তরাজ্যের ডরসেট আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল রোশন চেরাগ আলী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আকদ্দুছ আলী, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য শমসাদুর রহমান রাহিন, যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ এস আলী এনামুল হক, জেলা পরিষদের সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন আহমদ, বিশ্বনাথ পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আলতাব হোসেন, যুক্তরাজ্যপ্রবাসী বিএনপি নেতা সফিক উদ্দিন, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি যুক্তরাজ্যপ্রবাসী মোহাম্মদ সুহেল আহমদ চৌধুরী, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক যুক্তরাজ্যপ্রবাসী গৌছ খান, যুক্তরাজ্য বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও বিশ্বনাথ স্পোর্টস ডেভেলপমেন্ট ট্রাস্ট ইউকের যুগ্ম সম্পাদক সেবুল মিয়া ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছেন।

এ ছাড়া বিভাগের অন্য তিন জেলাতেও একই অবস্থা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, মাঠ উন্মুক্ত এবং প্রার্থীরা প্রচারে পরস্পরের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক বক্তব্য দেওয়ায় পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে।

জানতে চাইলে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান বলেন, যে যার মতো প্রার্থী হলেও নির্বাচন উৎসবমুখর হবে এবং ভোটাররা পছন্দের প্রার্থী বেছে নিতে পারবেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত