১২ মার্চ, ২০১৮ ১৯:২৮
কাঠমান্ডুতে অবতরণের সময় বিমানটি অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করে বলে জানান, কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিধ্বস্ত বিমানের বেঁচে যাওয়া যাত্রী বসন্ত বোহোরা।
বসন্ত বোহোরা নেপালের রসিতা ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেলস ও ট্যুরসের কর্মকর্তা। তিনিই হাসপাতালের বেডে শুয়ে সাংবাদিকদের জানাচ্ছিলেন এসব কথা।
তিনি জানান, বিমানটি হঠাৎ করেই ঝাঁকুনি দিতে শুরু করে এবং এরপরই বিকট একটি শব্দ হয়। এ সময় দুর্ঘটনা অনুমান করতে পেরে যাত্রীরা হাউমাউ করে কাঁদতে শুরু করেন।
তিনি বলেন, তবে আমি জানালার পাশেই বসে ছিলাম। এসময় আমি জানালার কাঁচ ভেঙে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হই। তিনি আর বলেন, বিমান থেকে রেড়িয়ে আসার পর আমার আর কিছু মনে নেই। কেউ একজন আমাকে সিনামঙ্গল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে আমার বন্ধুরা নরভিক হাসপাতালে নিয়ে আসে।
তিনি বলেন, বিমানটিতে বিভিন্ন ট্রাভেল কোম্পানির ১৬ জন যাত্রী ছিলেন। যারা প্রশিক্ষণের জন্য বাংলাদেশে গিয়েছিলেন। বহরা রোসেতা ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস কোম্পানির চাকরিজীবী। দুর্ঘটনার সময় তিনি ওই বিমানে ছিলেন। বহরা বর্তমানে নেপালের তাপাথালিতে নরভিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বিমান সম্পর্কে বোহারা বলেন, ঢাকা থেকে যখন বিমানটি ছেড়েছিল তখন কোনো সমস্যা ছিল না। কিন্তু ত্রিভুবন বিমানবন্দরে নামার আগমুহূর্তে সমস্যা দেখা দেয়।
প্রসঙ্গত, সোমবার নেপালের স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ২০ মিনিটে ৪ ক্রু ও ৬৭ আরোহীবাহী বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মুখপাত্র প্রেম নাথ ঠাকুর বলেছেন, ‘দুই ইঞ্জিন বিশিষ্ট টার্বোপ্রোপ বিমানটি ৬৭ আরোহী ও চার ক্রু নিয়ে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে কাঠমান্ডুর উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছিল।’
তিনি বলেন, ‘যাত্রীদের মধ্যে ৩৭ পুরুষ, ২৭ নারী ও দুই শিশু ছিল। এদের মধ্যে অন্তত ৩৩ জন নেপালের নাগরিক।’
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বোম্বারডায়ার ড্যাশ-৮ বিমানটি দুপুর ২টা ২০ মিনিটে বিধ্বস্ত হয়। বিধ্বস্ত হওয়ার আগে এতে আগুন ধরে যায়।
আপনার মন্তব্য