সিলেটটুডে ডেস্ক

০৭ এপ্রিল, ২০১৮ ১২:২৯

লুলা আত্মসমর্পণ করেন নি

ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা ডি সিলভা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণের জন্য আদালতের দেওয়া আদেশ মানার পরিবর্তে সমর্থকদের নিয়ে একটি ইউনিয়ন অফিসে আশ্রয় নিয়েছেন। ওই অফিসে আশ্রয় নিয়ে তিনি পুলিশের অপেক্ষা করছেন, পুলিশ এলে তিনি আত্মসমর্পণ করবেন।

বার্তা সংস্থা এপির এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, দুর্নীতির দায়ে ১২ বছরের সাজাভোগ শুরু করতে লুলাকে স্থানীয় সময় শুক্রবার (৬ এপ্রিল) বিকেল ৫টার মধ্যে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু সে আদেশ পালন করেননি তিনি।

লুলা দেশটিতে দুই মেয়াদে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেছেন। সরকারি কাজ পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে ঘুষ হিসেবে ব্রাজিলের একটি বড় নির্মাণপ্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে এক বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট নেন লুলা। এ ঘটনায় গত বছর তাকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।

দণ্ডের বিরুদ্ধে লুলা আদালতে আপিল করেন। বৃহস্পতিবার দেশটির সুপ্রিম কোর্ট তার বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে দেওয়া ১২ বছর কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে করা আপিল খারিজ করে দেন। এ ছাড়া ৭২ বছর বয়সী লুলাকে কারাগারের পাঠানোর নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার বিকেল ৫টার মধ্যে তাকে আত্মসমর্পণ করতেও বলা হয়।

সুপ্রিম কোর্টের আদেশের পরপরই রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ শুরু করেন তার সমর্থকেরা। সময়সীমা পার হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরেও ব্রাজিলের সাবেক ওই প্রেসিডেন্ট সাও পাওলোর একটি ইউনিয়ন ভবনের ভেতরে ছিলেন। দলটির নেতারা শুরুতে বলেছিলেন, বিকেলে তিনি কথা বলবেন। কিন্তু পরে জানান, তিনি কথা বলবেন না।

লুলা ডি সিলভার দুজন ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, কুরিতিবা শহরে তাকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হলেও তিনি সেখানে যাবেন না। এর চেয়ে তিনি ইউনিয়ন অফিসে পুলিশের জন্য অপেক্ষা করবেন বা শনিবার নাগাদ সাও পাওলোর পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করবেন।

ফেডারেল পুলিশের প্রেসিডেন্ট লুইস অ্যান্টোনিও বোডেনস বলেছেন, কোনোভাবেই জোর খাটানোর অভিপ্রায় নেই। বরং সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে সতর্ক থেকে এবং মিডিয়ার প্রদর্শন বাদ রেখেই নির্দেশ পালন করা হবে।

লুলাকে কারাগারে ঢোকানো ও আগামী নির্বাচনে তাকে অংশগ্রহণ করতে না দেওয়ার দাবিতে গত মঙ্গলবার সাওপাওলোতে বিক্ষোভ করে প্রায় ২০ হাজার মানুষ। বিপরীতে গত বুধবার ব্রাসিলিয়ায় ছোট আকারে সমাবেশ করেন লুলাপন্থীরা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত