অনলাইন ডেস্ক

০৭ অক্টোবর, ২০১৮ ১৮:০১

মাতাল পাখির উপদ্রবে অতিষ্ঠ শহরবাসী

বেসামাল হয়ে কখনো মাঝরাস্তায় গাড়ির সামনে চলে আসছে তারা, তো কখনো সটান ধাক্কা বাড়ির জানলায়। কিন্তু পুলিশ ডেকেও লাভ নেই। এ তো আর এলাকার অল্প বয়সীদের কাণ্ডকারখানা নয়। মাতলামোয় ‘অভিযুক্ত’ সবই নিরীহ পাখি। আর এ মাতাল পাখির উপদ্রবে একেবারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে মিনেসোটার গিলবার্ট শহরবাসী!

পুলিশ প্রধান টাই টেচার বিবৃতি দিয়ে জানান, একের পর এক অভিযোগ আসছে তাদের কাছে। দুর্ঘটনায় বহু পাখির মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, কিছুই করার নেই।

পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আসলে এ বছর সময়ের একটু আগেই বরফ পড়েছে। তাতেই বেরি জাতীয় এক ধরনের ফল পচে ফারমেন্টেশন হয়ে গিয়েছে। ওই ফল খেয়ে মাতাল হয়ে গিয়েছে পাখিরা। মৃত প্রতিটি পাখির পেট থেকে ওই বেরি মিলেছে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, ফলের মধ্যে থাকা মাত্রাতিরিক্ত ইথানলে মৃত্যু হয়েছে পাখিগুলোর।

প্রতি বছর এই দৃশ্যের দেখা মেলে না, কারণ বরফ পড়ার সময় আসতে আসতে গিলবার্টের পাখিরা দক্ষিণে উড়ে যায়। কিন্তু পরিযায়ীদের এখনো যাওয়ার সময় হয়নি, তার আগেই বরফ পড়তে শুরু করেছে এ বছর। টাই বলেন, ‘পুলিশে যোগাযোগ করার কোনো প্রয়োজন নেই। কিছুদিনের মধ্যেই সব ঠিক হয়ে যাবে।’

কিন্তু এ আশ্বাসে আতঙ্ক কাটছে না বাসিন্দাদের। ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন এ অভিজ্ঞতা। এক মহিলা জানিয়েছেন, একদিন বাড়ির পেছনের বাগানে তিনটি পাখির মৃতদেহ পান তিনি। আর একজন লিখেছেন, ‘গত এক সপ্তাহে আমার গাড়ি অন্তত সাতটি পাখিকে ধাক্কা মেরেছে। ব্রেক কষলেও আর কিছু করার ছিল না। ওরা সোজা এসে গাড়ির উইন্ডশিল্ডে ধাক্কা মারে।’ একজন আবার মন্তব্য করেছেন, ‘যেকোনো দিন সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে পাখিরা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত