১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ০১:২০
বাবা আবদুল্লার হাত ফস্কে উত্তাল সমুদ্রে ভেসে গিয়েছিল ছোট্ট আয়লান। পরে তুরস্কের বদরামের সমুদ্রসৈকতে ভেজা বালির মধ্যে মুখ থুবড়ে পড়ে থাকতে দেখা যায় তাকে। সেই ছবি ছড়িয়ে পড়ে গোটা দুনিয়ায়। মাসও কাটল না, ফের তুরস্কের সমুদ্রসৈকতে ভেসে এল এক শিশুর দেহ। এ বার কন্যা।
সূত্রের খবর, তুরস্কের পশ্চিমে সিসমি শহরে সৈকতে পড়ে থাকতে দেখা যায় শিশুটির প্রাণহীন দেহ। তবে শিশুটির পরিচয় জানা যায়নি। তুরস্ক থেকে গ্রিসে যাওয়ার পথে ফের সমুদ্রে ডুবে যায় সিরিয়ার শরণার্থী বোঝাই একটি নৌকা। নৌকায় জনা পনেরো যাত্রী ছিল। আটটি শিশু-সহ ১৪ জনকে উদ্ধার করে তুরস্কের উপকূলরক্ষীরা। অনুমান, সৈকতে পড়ে থাকা শিশুটি ওই নৌকায়ই ছিল। মঙ্গলবার তুরস্ক থেকে গ্রিস যাওয়ার পথে নৌকাডুবিতে মৃত্যু হয় ২২ জন সিরিয়ার শরণার্থীর।
সিরিয়া থেকে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। ২০১১-এ গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়া থেকে এ পর্যন্ত তুরস্কে আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় ২২ লক্ষ শরনার্থী।
শুক্রবার তুরস্কের উপ-প্রধানমন্ত্রী নুমান কুরতুলমাস জানিয়েছেন, চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত ৫৩ হাজারেরও শরণার্থীকে উদ্ধার করেছে উপকূলরক্ষী বাহিনী। সমুদ্র পথে সিরিয়া থেকে গ্রিসে যাওয়ার পথে নৌকাডুবিতে মৃত্যু হয়েছে ২৭৪ জন শরণার্থীর।
কুরতুলমাস আরও জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত সিরিয়া থেকে আসা শরণার্থীদের পিছনে সাত কোটি মার্কিন ডলার ব্যয় করেছে তুরস্ক। জলপথে এত জনের মৃত্যুর পরে সতর্ক হয়েছেন শরণার্থীরাও। জলের চেয়ে স্থলপথকেই বেছে নিচ্ছেন তাঁরা।
আপনার মন্তব্য