সিলেটটুডে ডেস্ক

০৩ নভেম্বর, ২০১৫ ১৫:২১

যুদ্ধাপরাধ: সাখাওয়াতসহ নয় জনের অভিযোগ শুনানি ১৭ নভেম্বর

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জাতীয় পার্টির নেতা সাবেক সংসদ সদস্য সাখাওয়াত হোসেনসহ নয় আসামির অভিযোগ গঠনের শুনানি ১৭ নভেম্বর ধার্য করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে নয় জনের মধ্যে পালাতক ছয় আসামির পক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য দুজন আইনজীবীও দিয়েছে আদালত।

তাদের বিরুদ্ধে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা,শিশু হত্যা,নির্যাতন,আটক ও লুটপাটের অভিযোগ আনা হয়েছে।

শুনানিতে ছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জেয়াদ-আল মালুম ও রেজিয়া সুলতানা চমন। আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুস সাত্তার পালোয়ান।

পরে জেয়াদ-আল মালুম বলেন, “যুদ্ধাপরাধের মামলায় সাখাওয়াতসহ নয় জনের অভিযোগ গঠনের শুনানি জন্য ১৭ নভেম্বর দিন ধার্য করেছে ট্রাইব্যুনাল। পালাতক ছয় আসামির পক্ষে স্টেট ডিফেন্স হিসেবে মামলা পরিচালনার জন্য আইনজীবী কুতুব উদ্দিন ও শুক্কুর আলীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।”

এ ছাড়া তিন আসামির জামিন আবেদনের শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল ১৭ নভেম্বর আদেশের জন্য দিন রেখেছে বলে জানান তিনি।

ট্রাইব্যুনাল যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন,তারা হলেন, সাখাওয়াত হোসেন,মো. বিল্লাল হোসেন বিশ্বাস, মো. ইব্রাহিম হোসাইন, শেখ মো. মজিবুর রহমান, এম এ আজিজ সরদার, আবদুল আজিজ সরদার, কাজী ওহিদুল ইসলাম, মো. লুৎফর মোড়ল ও মো. আবদুল খালেক।

গত ১৬ জুন সাখাওয়াতসহ যশোরের কেশবপুরের ১২ জনের বিরুদ্ধে এ মামলার তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রসিকিউশনে দাখিল করেন তদন্ত সংস্থা। ১৪ জুন তদন্ত সংস্থার কার্যালয় রাজধানীর ধানমণ্ডি সেফহোমে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেন তদন্ত সংস্থা।

২০১২ সালের ১ এপ্রিল থেকে এ মামলায় তদন্ত শুরু করে গত ১৩ জুন শেষ করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক খান। মুক্তিযোদ্ধাসহ ৩২ জনকে এ মামলার সাক্ষী করা হয়েছে।

সাখাওয়াতসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগে ২০০৯ সালে যশোরে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়। ওই বছর জুন মাসে তাকে কেশবপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে তিনি জামিনে ছাড়া পেয়ে আত্মগোপন করেন। পরে ওইসব মামলা ট্রাইব্যুনালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

প্রসিকিউশনের আবেদনে গত বছরের ২৬ নভেম্বর সাখাওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। পরে ২৯ নভেম্বর রাজধানীর উত্তরখান থেকে সাখাওয়াত হোসেনকে গ্রেফতার করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।

ওই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আনীত পাঁচ অভিযোগের মধ্যে রয়েছে, যশোরের কেশবপুর উপজেলার বোগা গ্রামে এক নারীকে অপহরণ, আটক, নির্যাতন ও ধর্ষণ; একই উপজেলার চিংড়া গ্রামের চাঁদতুল্য গাজী ও তার ছেলে আতিয়ারকে অপহরণ, আটক, নির্যাতন ও হত্যা; কেশবপুরের চিংড়া মো. নুরুদ্দিন মোড়লকে অপহরণ, আটক, নির্যাতন; কেশবপুরের হিজলডাঙ্গার আ. মালেক সরদারকে অপহরণ, আটক, নির্যাতন ও খুন এবং কেশবপুরের মহাদেবপুর গ্রামের মিরন শেখকে অপহরণ, আটক, নির্যাতন এবং ওই গ্রামে অগ্নিসংযোগ ও লুণ্ঠন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত