সিলেটটুডে ডেস্ক

০২ ফেব্রুয়ারি , ২০১৬ ১৬:৫১

৩০ লক্ষ শহীদ নিয়ে বির্তকের অবকাশ নেই: আদালত

মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশমাতৃকার জন্য ত্রিশ লক্ষ মানুষ জীবন দিয়েছেন, সেটি ঐতিহাসিকভাবে প্রতিষ্ঠিত সত্য। এই ৩০ লক্ষ শহীদ নিয়ে কোনো ধরনের বির্তকের কোনোই অবকাশ নেই বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

মঙ্গলবার (০২ ফেব্রুয়ারি)  নেত্রকোনার রাজাকার কমান্ডার মো. ওবায়দুল হক তাহের ও তার সহযোগী রাজাকার আতাউর রহমান ননীর মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার রায়ে এ পর্যবেক্ষণ দেন ট্রাইব্যুনাল।

মঙ্গলবার রায় ঘোষণার পর আদালত থেকে বেরিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জেয়াদ আল মালুম সাংবাদিকদের এ কথা জানান। তিনি বলেন, ‘ট্রাইব্যুনাল আজ রায় প্রদানকালে বলেছেন- মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহীদের সংখ্যা নিয়ে বির্তকের কোনো অবকাশ নেই। এ রায়ের মধ্য দিয়ে শহীদ পরিবারের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটেছে। এ রায় শহীদ পরিবারের জন্য স্বস্তি ও সান্ত্বনা। দীর্ঘ সময় পর হলেও ন্যায়বিচার পেয়েছে শহীদ পরিবার।’

২৬৮ পৃষ্ঠার রায়ে তাহের ও ননীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ আনোয়ার-উল হকের নেতৃত্বে বিচারিক প্যানেলের সদস্য বিচারপতি শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ সোহরাওয়ার্দীর সমন্বয়ে গঠিত তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল। তাদের বিরুদ্ধে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, অপহরণ, দেশান্তরিতকরণ, বাড়িঘরে আগুন ও লুটপাটের ছয়টি মানবতাবিরোধী অপরাধের মধ্যে চারটি প্রমাণিত হওয়ায় সর্বোচ্চ এ সাজা দেওয়া হয়েছে।

রায়ের ২৫২ পৃষ্ঠার ৪৪৬ অনুচ্ছেদে ট্রাইব্যুনাল বলেন, ‘পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর কাছ থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করতে বাঙালি জাতি ও মুক্তিযোদ্ধারা নয় মাস ধরে যে যুদ্ধ করেছে, তা ঐতিহাসিকভাবে প্রতিষ্ঠিত।  প্রিয় মাতৃভূমিকে মুক্ত  করতে ত্রিশ  লাখ মানুষ জীবন দিয়েছেন,  লাখ লাখ নারী তার সর্বোচ্চ সম্মান বিসর্জন দিয়েছেন, প্রায় এক কোটি মানুষ ভারতে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয়  নিয়েছেন,  লক্ষাধিক মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। এ প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস নিঃসন্দেহে জাতির পবিত্র  আবেগ ও মুক্তিযুদ্ধের অহঙ্কারের সঙ্গে মিশে আছে’।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত