সিলেটটুডে ডেস্ক

১৮ মে, ২০১৬ ১১:৫৬

প্রকাশের জন্য প্রস্তুত মীর কাসেমের পূর্নাঙ্গ রায়

মানবতা বিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদণ্ডের পূর্ণাঙ্গ রায়ের অনুলিপি প্রকাশিত হতে যাচ্ছে। একাত্তরে গণহত্যার জন্য পাকিস্তানী খান সেনাদের সহযোগীতা করে অপরাধ সংগঠিত করায় আদালত যাকে ‘বাঙালি খান’ আখ্যা দিয়েছেন।

সুপ্রিম কোর্টের একটি সূত্র জানিয়েছে, ইতোমধ্যে পূর্ণাঙ্গ রায় লেখা শেষ হয়েছে। রায় প্রদানকারী বিচারপতিদের স্বাক্ষরের পর এ রায় যেকোনো সময় এটি প্রকাশ করা হতে পারে।   

এ বছরের ৮ মার্চ মীর কাসেম আলীর ফাঁসি বহাল রেখে সংক্ষিপ্ত আকারে তার আপিল মামলার রায় দেন আপিল বিভাগ। এ রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশের পর তিনি রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন জানাতে পারবেন কাসেম। রিভিউ নিষ্পিত হবার পরই চূড়ান্ত দণ্ড কার্যকর প্রক্রিয়া শুরু হবে তার ।

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৪ সালের ০২ নভেম্বর মীর কাসেম আলীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। এ রায়ের বিরুদ্ধে  ওই বছরের ৩০ নভেম্বর খালাস চেয়ে মীর কাসেম আলী আপিল করেন।

ট্রাইব্যুনালে আটজনকে নির্যাতনের পর হত্যা ও মরদেহ গুম এবং ২৪ জনকে অপহরণের পর চট্টগ্রামের বিভিন্ন নির্যাতনকেন্দ্রে আটকে রেখে নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী ১৪টি অভিযোগে অভিযুক্ত হন মুক্তিযুদ্ধকালে জামায়াতের কিলিং স্কোয়ার্ড আলবদর বাহিনীর তৃতীয় শীর্ষ নেতা ও ইসলামী ছাত্রসংঘের সাধারণ সম্পাদক মীর কাসেম আলী।

এ ১৪টি অভিযোগের মধ্যে ১০টি প্রমাণিত হয়। বাকি ৪টি অভিযোগ প্রসিকিউশন সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে পারেননি।

১৪টি অভিযোগের মধ্যে ১০টি অর্থাৎ ২, ৩, ৪, ৬, ৭, ৯, ১০, ১১, ১২ ও ১৪ নম্বর অভিযোগ প্রমাণিত হয় এবং ৪টি অর্থাৎ ১, ৫, ৮ ও ১৩ নম্বর অভিযোগ প্রসিকিউশন প্রমাণ করতে পারেননি বলে ট্রাইব্যুনালের রায়ে উল্লেখ করা হয়।

১১ ও ১২ নম্বর অভিযোগে কিশোর মুক্তিযোদ্ধা জসিম উদ্দিনসহ মোট ৮ জনকে হত্যার দায়ে কাসেমের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। এর মধ্যে ১১ নম্বর অভিযোগে শহীদ কিশোর মুক্তিযোদ্ধা জসিম উদ্দিনসহ ছয়জনকে ও ১২ নম্বর অভিযোগে রঞ্জিত দাস লাতু ও টুন্টু সেন রাজুকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়। ১১ নম্বর অভিযোগে সর্বসম্মত ও ১২ নম্বর অভিযোগে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে ফাঁসির রায় দেন বিচারপতিরা।


আপনার মন্তব্য

আলোচিত