নিউজ ডেস্ক

৩১ মার্চ, ২০১৫ ১৮:৪২

যুদ্ধাপরাধী কামারুজ্জামানের রিভিউ কার্যতালিকায়

মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল যুদ্ধাপরাধী মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় এসেছে।

এছাড়াও কার্যতালিকায় এসেছে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের সাকা চৌধুরীর আপিল মামলা দু’টিও।

তবে কামারুজ্জামানের রিভিউ ও মুজাহিদের আপিল শুনানি পেছাতে সময়ের আবেদন জানিয়েছেন তাদের প্রধান আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন।

বুধবারের (১ এপ্রিল) কার্যতালিকায় কামারুজ্জামানের রিভিউ আবেদনটি ৪ নম্বরে এবং মুজাহিদ ও সাকা চৌধুরীর আপিল মামলা দু’টি যথাক্রমে ১১ ও ১২ নম্বরে রয়েছে।

মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) বিকেলে এ কার্যতালিকা প্রকাশিত হয়।

তবে কামারুজ্জামানের রিভিউ শুনানি চার সপ্তাহ ও মুজাহিদের আপিলের শুনানি ছয় সপ্তাহ পেছাতে সময়ের আবেদন জানিয়েছেন তাদের প্রধান আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় দাখিল করা এ আবেদনে খন্দকার মাহবুবের অসুস্থতার কারণ দেখানো হয়েছে।

প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চার সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে কামারুজ্জামানের রিভিউ শুনানি নেওয়া হবে। বেঞ্চের অন্য তিন সদস্য হলেন বিচারপতি আব্দুল ওয়াহহাব মিয়া, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী।

এর আগে গত ৯ মার্চ শুনানির জন্য কার্যতালিকায় এলেও আসামিপক্ষের আইনজীবীর সময়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে পিছিয়ে ১ এপ্রিল ধার্য করেন আপিল বিভাগ।

কামারুজ্জামানের প্রধান আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেনের ব্যক্তিগত অসুবিধার কারণ দেখিয়ে ওইদিন চার সপ্তাহের সময়ের আবেদন জানান আসামিপক্ষের আইনজীবী মৌলভী ওয়াহিদুল্লা। তিনি এ মামলার অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড জয়নাল আবেদীনের পক্ষে আবেদনটি জানান।

গত ৫ মার্চ আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল মামলার চূড়ান্ত পূর্ণাঙ্গ রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদনটি দাখিল করেন কামারুজ্জামানের আইনজীবীরা। পরে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার বিচারপতির আদালতে শুনানির দিন ধার্যের আবেদন জানান অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৮ মার্চ চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী রিভিউ আবেদনটি শুনানির জন্য পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন।

মোট ৭০৫ পৃষ্ঠার রিভিউ আবেদনে ৪৪টি যুক্তি দেখিয়ে কামারুজ্জামানের ফাঁসির আদেশ বাতিল ও তার খালাস চেয়েছেন আসামিপক্ষ।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি (বর্তমান প্রধান বিচারপতি) এসকে সিনহার নেতৃত্বে চার বিচারপতির একই বেঞ্চ কামারুজ্জামানের আপিল মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় ঘোষণা করেন।

এরপর ১৯ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ তিন বিচারপতি কামারুজ্জামানের মৃত্যু পরোয়ানায় স্বাক্ষর করেন। অন্য দুই বিচারপতি হচ্ছেন বিচারপতি মো. মুজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি শাহীনুর ইসলাম।

পরে ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার মুস্তাফিজুর রহমান মৃত্যু পরোয়ানা জারি করে আইজিপি (প্রিজন) এর বরাবরে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পাঠান। পরে কারাগারে কামারুজ্জামানকে মৃত্যু পরোয়ানা পড়ে শোনানো হয়।

গত বছরের ৩ নভেম্বর কামারুজ্জামানকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর দেওয়া ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখে চূড়ান্ত রায় সংক্ষিপ্ত আকারে দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত