নিউজ ডেস্ক

১১ এপ্রিল, ২০১৫ ২৩:৩৪

শেষ পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মতিতেই শেরপুরে হচ্ছে কামারুজ্জামানের দাফন

শেরপুরের স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধের মুখে দাফনের জন্যে বাংলাদেশের কোন জায়গা পাওয়া যাচ্ছিল না, এদিকে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ থেকে জানানো হয়েছিল ঢাকার মাটিতে ঠাই হবে না যুদ্ধাপরাধী কামারুজ্জামানের।

ফলে বিশাল সমস্যা পড়ে গিয়েছিল এ যুদ্ধাপরাধীর পরিবার। তবে শেষ পর্যন্ত প্রশাসনের দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা রাজি হলেন এবং সেখানেই সমাহিত করা হচ্ছে সোহাগপুরের গণহত্যার মূখ্য কারিগর, আল বদর কমান্ডার মোহাম্মদ কামারুজ্জামানকে।

একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত কামারুজ্জামানকে শনিবার (১১ এপ্রিল) রাত ১০টার পরপরই ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়।

মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ফটকে থাকা চকবাজার থানার ওসি আজিজুল হক সাংবাদিকদের বলেন, র্যা ব ও পুলিশের নয়টি গাড়ির পাহারায় লাশ নিয়ে যাওয়া হবে শেরপুরে।

স্ত্রী, পাঁচ ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কামারুজ্জামান থাকতেন ঢাকার মিরপুরের সাংবাদিক কলোনিতে।

মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আগে বুধবার বিকাল থেকে বাজিতখিলার ওই জমিতে কবরের কাজ চলছিল। দাফনের পর কবর বাঁধানোর জন্য ইট ও বালুও এনে রাখা হয়। তখন এই যুদ্ধাপরাধীকে কবরের জায়গা না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন শেরপুরের মুক্তিযোদ্ধারা, যার মধ্যে কামারুজ্জামানের স্ত্রীর এক ভাইও ছিলেন।

তবে পরে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আলোচনার পর তারা কামারুজ্জামানের লাশ প্রতিরোধের ওই ওই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন।

একাত্তরে ময়মনসিংহ অঞ্চলের আলবদর বাহিনীর প্রধান কামারুজ্জামানকে যে অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে, তা হচ্ছে শেরপুরের নালিতাবাড়ি উপজেলার সোহাগপুরে শতাধিক মানুষকে হত্যা।
একাত্তরে ওই গণহত্যার পর সোহাগপুরের অধিকাংশ নারীকে অকালে বৈধব্য নিতে হওয়ায় গ্রামটি বিধবাপল্লী হিসেবে পরিচিতি পায়।

কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে আপিলের রায় দেওয়ার সময় সর্বোচ্চ আদালত একাত্তরে এই জামায়াত নেতার ভূমিকাকে জানোয়ারের সঙ্গে তুলনা করেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত