সিলেটটুডে ডেস্ক

২৯ মার্চ, ২০১৭ ০১:৩১

মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার পলাতক আসামি সাত্তারের আত্মসমর্পণ

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পলাতক আসামি আবদুস সাত্তার আত্মসমর্পণ করেছেন।

মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান তিনি।

বিচারপতি এম আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল শুনানি শেষে তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়ে দেন। পরে তাকে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।

প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ শিমন জানান, ময়মনসিংহের এমপি জাতীয় পার্টির নেতা এমএ হান্নানসহ আটজনের বিরুদ্ধে করা মামলায় আবদুস সাত্তার পলাতক আসামি। তার বিরুদ্ধে সম্প্রতি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।

আসামিদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, আটক, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, অপহরণ ও লাশ গুমের ৬ ধরনের অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।

প্রসিকিউটর শিমন জানান, সাত্তারের বিরুদ্ধে হত্যা ও নির্যাতনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। মঙ্গলবার তিনি ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করেন। এ সময় তার পক্ষে অ্যাডভোকেট মোজাম্মেল হক জামিন প্রার্থনা করেন। প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে তার জামিনের বিরোধিতা করা হলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়ে দেন।

এই প্রথম গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার কোনো আসামি ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করলেন বলে জানান এ প্রসিকিউটর।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, এমপি হান্নানসহ আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিলের জন্য আগামী ১৮ এপ্রিল পরবর্তী দিন ধার্য রয়েছে। এ মামলায় আরও দুই আসামি পলাতক।

২০১৫ সালের ১৯ মে ত্রিশালের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রহমানের স্ত্রী রহিমা খাতুন এ মামলা করেন। পরে ময়মনসিংহের ১ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক এজাহারটি গ্রহণ করে ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর আদেশ দেন।

ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা ওই বছরের ২৮ জুলাই তদন্ত শুরু করে। ২০১৫ সালের ১ অক্টোবর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ছেলেসহ ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসনের এমপি হান্নানকে গুলশানে তার বাড়ি থেকে এবং ছেলে রফিক সাজ্জাদকে ওই এলাকার আরেকটি বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া গোলাম সাব্বির, মিন্টু ও হরমুজ আলীকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গত বছরের ১১ জুলাই ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা প্রসিকিউশন শাখায় আটজনের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। পরে ১০ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। প্রসিকিউশন আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিলের পর গত বছরের ১১ ডিসেম্বর ট্রাইব্যুনাল তা আমলে নেয়।

ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসনের সাংসদ এম এ হান্নান, তার ছেলে মো. রফিক সাজ্জাদ, চিকিৎসক খন্দকার গোলাম ছাব্বির আহমাদ, মিজানুর রহমান মিন্টু ও মো. হরমুজ আলী কারাগারে আছেন। সাত্তারের আত্মসমর্পণের পর মো. ফখরুজ্জামান ও খন্দকার গোলাম রব্বানী এখনও পলাতক।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত