অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের স্ত্রী শারমিন চৌধুরী এবং তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের স্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে সম্রাটের স্ত্রী এবং তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সম্পত্তি ক্রোকের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম। এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত উল্লিখিত আদেশ দেন।

দুদকের আবেদনে বলা হয়, ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন করেছেন। এজন্য তার বিরুদ্ধে গত বছরের ১২ নভেম্বর মামলা দায়ের করা হয়।

মামলার তদন্তকালে জানা যায়, ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের স্ত্রী শারমিন চৌধুরী তার নামে থাকা মহাখালীর ডিওএইচএস এলাকার ১ হাজার ৩১৭ বর্গফুটের ফ্ল্যাট এবং তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ফরিদ আহমেদ চৌধুরী ও মোস্তবা জামানের নামে কাকরাইলে ৪ হাজার ২৫৯ বর্গফুটের স্থাবর সম্পত্তি অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার প্রচেষ্টা করছেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতে দুদকের কোর্ট ইন্সপেক্টর আমিনুল ইসলাম এসব তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের সম্পত্তি ক্রোক করা হয় বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, গত ১২ নভেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, সম্রাট বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। অভিযোগ আছে, তিনি মতিঝিল ও ফকিরাপুল এলাকায় ১৭টি ক্লাব নিয়ন্ত্রণ করতেন এবং সেগুলোতে লোক বসিয়ে মোটা অঙ্কের কমিশন নিতেন। অনেক সময় ক্লাবগুলোতে ক্যাসিনো ব্যবসা করতেন।

এছাড়া তিনি অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ দিয়ে ঢাকার গুলশান, ধানমন্ডি ও উত্তরাসহ বিভিন্ন স্থানে একাধিক ফ্ল্যাট, প্লট কিনেছেন ও বাড়ি নির্মাণ করেছেন। এছাড়া, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দুবাই ও যুক্তরাষ্ট্রে তার নামে-বেনামে ১ হাজার কোটি টাকার সম্পদ আছে।