সিলেটটুডে ডেস্ক

২০ আগস্ট, ২০২০ ২১:৩৪

ব্লগার নাজিমুদ্দিন সামাদ হত্যা: ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

ব্লগার নাজিমুদ্দিন সামাদ হত্যা মামলায় আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার প্রধান চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হকসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ।

ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের উপকমিশনার সাইফুল ইসলাম অভিযোগপত্র দেওয়ার তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র নাজিমুদ্দিন সামাদ ক্লাস শেষে গেন্ডারিয়ার মেসে ফেরার পথে লক্ষ্মীবাজারের একরামপুর মোড়ে ধর্মীয় সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হন। পাঁচ-ছয়জন ধর্মীয় সন্ত্রাসী চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে এবং গুলি করে তাকে হত্যা করে। হত্যার পর তারা দুটি মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যায়। ওই ঘটনায় সূত্রাপুর থানায় মামলা হয়। নাজিমুদ্দিন সামাদের গ্রামের বাড়ি সিলেটের বিয়ানীবাজার।

নাজিমুদ্দিন সামাদের হত্যাকাণ্ডের একই বছরে একইকায়দায় বিজ্ঞানমনস্ক লেখক অভিজিৎ রায়সহ ৯ জনকে হত্যা করা হয়। চাপাতি দিটে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে শুদ্ধস্বরের কর্ণধার আহমেদ রশিদ টুটুলকে। সবশেষ ২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল তারা ইউএসএআইডির কর্মকর্তা জুলহাজ মান্নান ও তার বন্ধু মাহবুব রাব্বী তনয়কে খুন করে। এই হত্যাকাণ্ডগুলোর বিচার অদ্যাবধি শেষ হয়নি।

নাজিমুদ্দিন সামাদের মামলার অভিযোগপত্র প্রসঙ্গে সাইফুল ইসলাম বলেন, এই মামলায় ৯ আসামির ৪ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতদের সবাই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন। তারা বলেছে, অনলাইনে লেখালেখির কারণে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন রশিদ উন নবী, মোজাম্মেল হোসাইন সায়মন, আরাফাত রহমান ও মো. শেখ আবদুল্লাহ। তাদের মধ্যে মোজাম্মেল হোসাইন সায়মন ও আরাফাত রহমান অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডেরও আসামি।

পলাতক পাঁচ আসামি হলো সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে মেজর জিয়া (চাকরিচ্যুত), মো. ওয়ালি উল্লাহ ওরফে ওলি, সাব্বিরুল হক চৌধুরী ওরফে কনিক, মওলানা জুনেদ আহম্মেদ ওরফে জুনায়েদ এবং আকরাম হোসেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত