সিলেটটুডে ডেস্ক

০৭ অক্টোবর, ২০২০ ১৬:০১

মেয়েকে ‘ধর্ষণ’, বাবা গ্রেপ্তার

ছবি : চ্যানেল ২৪ -এর সৌজন্যে

নিজ মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে শরিফুল ইসলাম নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) মানিকগঞ্জের হরিরামপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ঢাকার সিআইডির মিডিয়া সেলের ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়, ‘গ্রেপ্তার হওয়া শরিফুল নিজেকে পীর বলে দাবি করতেন।’ ব্রিফিং করেন সিআইডির ডিআইজি শেখ নাজমুল আলম।

সিআইডি সূত্রে জানা যায়, গত দুই বছর আগে সন্ন্যাসীর বেশ ধারণ করলে তার স্ত্রী মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়ি চলে যায়। কিন্তু গেল কুরবানীর ঈদে ১৬ বছরের মেয়েকে কৌশলে নিজ বাড়ি নাটোরের বড়াইগ্রামে নিয়ে আসে শরিফুল। এরপর ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে নিয়মিত ধর্ষণ করে সে। পরে মেয়েটির নানীর সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে নারী নির্যাতন আইনে মামলা করা হয়।

ব্রিফিংয়ে নাজমুল আলম বলেন, ‘কথিত ওই সাধক সন্ন্যাসীর বেশ ধারন করলে দুই বছর আগে তার স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যায়। এ সময় তার মেয়ে নাটোরের দীঘাপাতিয়ায় নানার বাড়িতে চলে যায়। গত ঈদুল আজহার ছয় দিন আগে বিভিন্ন কৌশলে মেয়েকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসেন ওই সন্ন্যাসী। বাড়িতে আনার পর সে মেয়ের উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে। এক পর্যায়ে মেয়েকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ও আটক রেখে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মেয়েকে নিয়মিত ধর্ষণের কথা স্বীকার করে সে। এ সময় বাড়িতে কোনো লোকজন এলে মেয়েটির সঙ্গে কাউকে দেখা বা কথা বলতে দেওয়া হতো না।’

বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, ‘নির্যাতনের পর মেয়ে তার দাদা-দাদীকে ঘটনা খুলে বলে। কিন্তু দাদা-দাদী মেয়েটি বলে, এই ঘটনা কাউকে না বলার জন্য। এক পর্যায়ে মেয়েটি তার নানীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে সমর্থ হয়। মা ও নানী মেয়েটিকে উদ্ধার করে নাটোরের বড়াইগ্রাম থানায় একটি মামলা করেন। মামলার পর অভিযুক্ত ব্যক্তি আত্মগোপন করে।’

‘অবশেষে সিআইডির এলআইসির একটি দল ২৫ ঘণ্টার মতো অভিযান চালিয়ে মানিকগঞ্জ থেকে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার ব্যক্তির বিরুদ্ধে একই থানায় ২০১৫ সালের ২৪ আগস্ট মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়। গ্রেপ্তারকৃতকে নাটোর জেলা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত