সিলেটটুডে ডেস্ক

০১ নভেম্বর, ২০১৫ ০২:০৮

অভিজিৎ রায়ের মতো দীপনও ছিলেন ঢাবি শিক্ষকপুত্র

শাহবাগে নিজ প্রকাশনা কার্যালয়ে জঙ্গি মৌলবাদীদের চাপাতির আঘাতে নৃশংস হত্যার শিকার ফয়সল আরেফিন দীপনের বাবা আবুল কাশেম ফজলুল হক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। এর আগে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণেই উগ্রবাদীদের আরেক শিকার লেখক ব্লগার অভিজিৎ রায়ের বাবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক। 

প্রথাবিরোধী, বিজ্ঞানমনষ্কদের হত্যার মিছিলে অভিজিৎ ও তার এক বইয়ের প্রকাশক দীপনের হত্যাকান্ডের মধ্যে মিল খুঁজে পাওয়া যায়। অভিজিৎ রায় ছিলেন বিজ্ঞানভিত্তিক বইয়ের লেখক আর ফয়সল আরেফিন দীপন ছিলেন অভিজিতের বইয়ের প্রকাশক।

শনিবার (৩১ অক্টোবর) একই দিনে ৪ লেখক-প্রকাশকের ওপর হামলা করে জঙ্গি মৌলবাদীরা। এদের ২জন অভিজিতের বইয়ের প্রকাশক।

গত বইমেলায় লেখক ব্লগার অভিজিত রায়কেও সোহরাওয়ার্দি উদ্যানের সামনে অসংখ্য মানুষের সামনেই কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছিলো। হামলার সেই ঘটনায় আহত হয়েছিলেন অভিজিতের স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যা। এই দম্পত্তির একজন কণ্যা সন্তান রয়েছে।

উগ্রবাদীদের চাপাতির আঘাতে নিহত প্রথাবিরোধী লেখক-ব্লগারদের ভীড়ে আরেফিন ফয়সাল ও অভিজিত রায়ের মধ্যে মুক্তমনার মানসিকতা ছাড়াও সামঞ্জস্য খুঁজে পাওয়া যায় তাদের দুজনেরই বাবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক।

মার্কিন প্রবাসী প্রকৌশলী, লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায়ের পিতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থ বিজ্ঞানের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অধ্যাপক ড. অজয় রায় একুশে পুরস্কার বিজয়ী। মানবাধিকার বিষয়ে কাজ করার জন্য প্রখ্যাত এবং মুক্তচিন্তার অধিকারী ড. অজয় ধর্মনিরপেক্ষ মানবতাবোধের প্রচারক।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হকের দুই সন্তানের মধ্যে একমাত্র ছেলে আরেফিন ছিলেন প্রকাশক।

একুশটিরও অধিক গ্রন্থের প্রণেতা জনাব ফজলুল হক নজরুল রচনাবলীর সম্পাদনা পরিষদের সদস্য ও পত্র পত্রিকায় নিয়মিত কলাম লিখেন। বাংলাদেশের প্রধান মুক্তচিন্তক আহমদ শরীফের সৃষ্ট সংগঠন স্বদেশ চিন্তা সংঘের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন ২০০০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত