সিলেটটুডে ডেস্ক

০২ জানুয়ারি, ২০২১ ১৯:৫৩

সাড়ে তিন মাস পর ভারত থেকে পেঁয়াজ এলো

বন্ধ থাকার প্রায় সাড়ে তিন মাস পর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দেশে এসেছে ভারতের পেঁয়াজ।

শনিবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে ভারত থেকে পেঁয়াজ বোঝাই একটি ট্রাক দেশে আসে।

হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানি গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন বলেন, ‘আজ ভারতীয় পেঁয়াজের প্রথম চালান এসেছে।

ভারত সরকার দীর্ঘদিন বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ রেখেছিল। তবে গত ২৮ ডিসেম্বর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়। আশা করা হচ্ছে. দুই-এক দিনের মধ্যে বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের সরবরাহ হলে কেজি প্রতি ২২ থেকে ২৫ টাকা দাম কমবে।’

যে ট্রাকটি দেশে এসেছে তাতে ১৫ টন পেঁয়াজ রয়েছে বলেও জানান তিনি।

হিলি স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের সংকট ও দাম বাড়ার অজুহাত দেখিয়ে গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত। এরপর সাড়ে তিন মাস বাংলাদেশে ভারতের পেঁয়াজ আসেনি।

নিষেধাজ্ঞার কারণে দেশের বাজারে বেড়ে যায় পেঁয়াজের দাম। পরিস্থিতি সামলাতে সরকার খোলাবাজারে পণ্যটি বিক্রি শুরু করে। তবে এতেও চড়া বাজার নিয়ন্ত্রণে আসেনি।

সে সময় পরিস্থিতি সামাল দিতে আমদানিকারকরা মিয়ানমার, পাকিস্তান, মিশর, তুরস্ক ও চীন থেকে বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করে। আর তখন মুনাফার আশায় আমদানি করা ব্যবসায়ীরা এখন শঙ্কায় লোকসানের। কারণ, মৌসুমের আগে আগে দাম পড়ে গেছে অনেকটাই।

সম্প্রতি সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয় ভারত সরকার। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় পাঁচ হাজার টন পেয়াজের এলসি (লেটার অফ ক্রেডিট) খুলেছেন ব্যবসায়ীরা।

তবে বাংলাদেশে পেঁয়াজের মৌসুমে এই আমদানিতে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয় কি না, নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।

এরই মধ্যে বাজারে উঠে গেছে মুড়িকাটা পেঁয়াজ। আগামী এক মাসের মধ্যেই পুরোদমে উঠবে রান্নার উপকরণটি। এই সময়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হলে কৃষক দাম পাবে কি না, তা নিয়ে উঠেছে কথা।

অবশ্য আমদানি না হলে ভোক্তাদেরকেও তুলনামূলক বেশি টাকা দিয়ে পেঁয়াজ কিনতে হতে পারে।

সরকারি হিসাবে বাংলাদেশে পেয়াঁজের চাহিদা ২৪ লাখ মেট্রিক টন। গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় দেখা গেছে, উৎপাদন ১৮ থেকে ১৯ লাখ মেট্রিক টনের মধ্যে থাকে।

যদিও বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সর্বশেষ ২০১৯ সালের উৎপাদন মৌসুমে দেশে ২৫ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। তবে প্রতি মৌসুমেই উৎপাদিত পেঁয়াজের কমপক্ষে ২৫ শতাংশ পচে নষ্ট হয়ে যায়।

চাহিদা ও উৎপাদনের মধ্যে এসব কারণে বছরে ৯ থেকে ১১ লাখ টনের ঘাটতি থাকে। এ ঘাটতি পূরণ করা হয় আমদানির মাধ্যমে, যার ৯৫ শতাংশ আসছে ভারত থেকে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত