সিলেটটুডে ডেস্ক

১১ জানুয়ারি, ২০২১ ১৫:৫৪

যুদ্ধাপরাধী সাঈদীর আরেক মামলার বিচার শুরু

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের যাকাতের অর্থ আত্মসাৎ

মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত মাওলানা দেলাওয়ার হোসেইন সাঈদীর বিরুদ্ধে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের যাকাত তহবিলের অর্থ আত্মসাতের মামলায় অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এরইমধ্যে দিয়ে এই মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।

সোমবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে পুরান ঢাকার বকশিবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক সৈয়দা হোসনে আরার আদালতে ৫ আসামির উপস্থিতিতে এ মামলার চার্জগঠনের আদেশ দেন। এরপর আদালত আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেন।

চার্জগঠনের সময় আসামিদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় অভিযোগ পড়ে শোনানো হয়। এসময় আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেন।

আদালতে সাঈদী বলেন, ‘আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ, আমি এ মামলার বিষয় সম্পর্কে কিছুই জানি না, যারা আমাকে মিথ্যাভাবে এই মামলায় জড়াইয়াছে তারা সকলেই জাহান্নামে যাবে।’

মামলার অপর ৫ আসামি হলেন- ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ লুৎফুল হক, মসজিদ কাউন্সিল ফর কমিউনিটি এডভান্সমেন্টের সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, বন্ধুজন পরিষদের প্রধান সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ ইউনুস, ইসলামী সমাজকল্যাণ কেন্দ্রের সাবেক সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মসজিদ কাউন্সিলের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল হক।

আসামিদের মধ্যে দেলাওয়ার হোসেইন সাঈদী কারাগারে, আবুল কালাম আজাদ এবং আব্দুল হক পলাতক রয়েছেন। অপর তিন আসামি জামিনে রয়েছেন।

ইফার যাকাত তহবিলের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সংশ্লিষ্ট ফাউন্ডেশনের সাবেক পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) আইয়ুব আলী চৌধুরী ২০১০ সালের ২৪ মে শেরেবাংলা নগর থানায় এ মামলা দায়ের করেন। অভিযোগে বলা হয়, ২০০৫-০৬ অর্থ বছরে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের যাকাত বোর্ডের ১ কোটি ১৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং ২০০৪-০৫ অর্থ বছরের ১৩ লাখ টাকাসহ যাকাত তহবিলের মোট ১ কোটি ২৭ লাখ ৫০ হাজার দেশের ৬৪ জেলায় গরিব ও দুঃস্থদের না দিয়ে নিজেদের দলীয় প্রতিষ্ঠানে বরাদ্দ করে আত্মসাৎ করেন।

ওই অর্থের মধ্যে সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোশারেফ হোসেন শাহজাহান ‘জাতীয় বন্ধুজন পরিষদ’ ভোলার অনুকূলে ৫০ লাখ, কাঁঠালিয়া মুসলিম এ কে ইন্সটিটিউটের অনুকূলে ৬ লাখ ৫০ হাজার, মাওলানা আবুল কালাম আযাদের মসজিদ কাউন্সিল ফর কামউনিটি এডভান্সমেন্টের অনুকূলে ৪৫ লাখ, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির তৎকালীন সভাপতি দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর ইসলামী সমাজকল্যাণ কেন্দ্র পিরোজপুরের অনুকূলে ৫ লাখ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ লুতফুল হকের দারুল কারার সোসাইটি, শরিয়তপুরের অনুকূলে ৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেন।

২০১২ সালের ৩০ এপ্রিল মামলাটি তদন্ত করে দুদকের সহকারী পরিচালক ওয়াজেদ আলী গাজী আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত