সিলেটটুডে ডেস্ক

১৩ জানুয়ারি, ২০২১ ১৯:৩২

দিহান ‘শক্তিবর্ধক’ ওষুধ নিয়েছিল কিনা পরীক্ষার নির্দেশ

রাজধানীর কলাবাগানে ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি ইফতেখার ফারদিন দিহান ‘শক্তিবর্ধক’ ওষুধ ও মাদক সেবন করেছিল কিনা, তা পরীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (১৩ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসমিন আরা এ আদেশ দেন।

আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক স্বপন কুমার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কলাবাগান থানার পুলিশ পরিদর্শক আ ফ ম আসাদুজ্জামান আসামি দিহান ঘটনার সময় যৌনবর্ধক ওষুধ ও মাদক সেবন করেছিল কিনা, তা পরীক্ষা করার অনুমতি চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। তার এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক এ আদেশ দেন।

এর আগে গত ৮ জানুয়ারি ইফতেখার ফারদিন দিহান ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

গত ৭ জানুয়ারি রাতে এ  ঘটনায়  কলাবাগান থানায় ওই শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ফারদিন ইফতেখার দিহান বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) দুপুর আনুমানিক ১২টার দিকে বাদীর মেয়ে স্কুলছাত্রীকে প্রেমে প্রলুব্ধ করে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর ৬৩/৪, লেক সার্কাস ডলফিন গলি, পান্থপথ, কলাবাগানের ফাঁকা বাসায় মেয়েটিকে নিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের সময় প্রচুর রক্তক্ষরণে মেয়েটি অচেতন হয়ে পড়ে। তখন বিবাদী দিহান ধর্ষণের বিষয়টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য মেয়েটিকে নিয়ে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে যায়। সেখানে ভিকটিমের মৃত্যু হয়। সংবাদ পেয়ে কলাবাগান থানার পুলিশের একটি দল দ্রুত হাসপাতালে যায়।

খবর পেয়ে মেয়েটির তিন বন্ধু হাসপাতালে গেলে পুলিশ তাদেরও আটক করে। পরে দিহানসহ চার জনকে কলাবাগান থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পুলিশ পরে স্কুলছাত্রীর লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

পুলিশের এসি আবুল হাসান বলেন, ‘মেয়েটির শরীরে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন আলামত জব্দ করেছে।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত