সিলেটটুডে ডেস্ক

১০ নভেম্বর, ২০১৫ ০১:৩১

আইএস ‘মেড ইন টঙ্গী ও যাত্রাবাড়ী’: বেনজির

বাংলাদেশে হত্যাকাণ্ডের পর আইএসের নামে দায় স্বীকারের বার্তা এলেও তার সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের এই জঙ্গি সংগঠনটির কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করেছেন র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ। এ প্রসঙ্গে তিনি আইএস ‘মেড ইন টঙ্গী ও যাত্রাবাড়ী’ বলে উল্লেখ করেন। 

সোমবার খুলনা বিভাগীয় আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ এ মন্তব্য করেন। খুলনা সার্কিট হাউসের সভাকক্ষে দুপুর সোয়া ২টার দিকে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

তিনি বলেন, “আইএস তাদের (দুই বিদেশি) হত্যা করলে তাদের ওয়েবপেইজ থেকে তারা দায় স্বীকার করত। কিন্তু দায় স্বীকার করা হয়েছে সোশাল মিডিয়ায়।

“আর অনুসন্ধানে জানা গেছে, দায় স্বীকারের একটি করা হয়েছে গাজীপুরের টঙ্গী এবং অপরটি ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে। ফলে আইএসের যে দায় স্বীকারের কথা বলা হচ্ছে তা ‘মেইড ইন টঙ্গী অ্যান্ড যাত্রাবাড়ীর’।”

‘সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা’ থেকে আইএসের কথা বলা হচ্ছে দাবি করে র‌্যাবপ্রধান বলেন, লন্ডন ও ভারত থেকে আইএসের দুটি দল বাংলাদেশে এসেছিল। তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

দুই বিদেশি হত্যাকাণ্ডের পর আইএসের দায় স্বীকারের খবর সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ দিলেও তার সত্যতা নিয়ে শুরু থেকে প্রশ্ন করে আসছিল বাংলাদেশ সরকার।

‘অন্য পরিকল্পনা’ থেকে আইএসের অস্তিত্ব স্বীকারের চাপ আসছে বলে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের একদিন বাদেই খুলনায় সাংবাদিকদের কাছে নিজেদের অনুসন্ধানের ফল জানালেন বেনজির।

বেনজির আহমেদ বলেছেন, দেশে ৫/৬ সপ্তাহের মধ্যে ৮টি নৃশংস ঘটনা ঘটেছে। দুজন বিদেশিকে হত্যা করা হয়েছে। একজন প্রকাশককে হত্যা এবং অপর এক প্রকাশকসহ তিনজনের ওপর হামলা হয়েছে। পুলিশ সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে। ভিন্ন আঙ্গিকে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে। যা জনতার ঐক্যবদ্ধ সমর্থনে প্রশাসন রুখে দেবে।

র‌্যাবের মহাপরিচালক আরও বলেন, আমরা জনগণের সহায়তা নিয়ে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রতিত চাই। আর কোনও শিশুর মৃত্যু চাই না।

বেনজির আহমেদ বলেন, আইএস ইরাক ও সিরিয়াতে অপারেশন চালাচ্ছে। আইএস-এর সঙ্গে এ দেশের জনগণ বা রাষ্ট্রের কোনও সম্পৃক্ততা নেই। এখন তদন্ত করে দেখা হচ্ছে এ দেশের কোনও ব্যক্তি বা সংগঠন তাদের স্পন্সর করছে কিনা। এ বিষয়ে প্রশাসনের নজরদারি রয়েছে। এ ধরনের কোনও তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেলে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

পুলিশ হত্যা সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে বেনজির আহমেদ বলেন, এ বিষয়ে পুলিশের ভেতরে তদন্ত কমিটি কাজ করছে। এর সঙ্গে পুলিশের কারও কোনও সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

সম্প্রতি ঢাকায় পুলিশকে গুলি করতে বলা সম্পর্কে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বাহিনী কখন কোন অবস্থায় গুলি করতে পারবে তা বিধানেই উল্লেখ রয়েছে এবং সুনির্দিষ্ট করা আছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. আব্দুস সামাদ,খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি মো. মনিরুজ্জামান,খুলনার পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার নিবাস চন্দ্র মাঝীসহ র‌্যাব ৬ এর কর্মকর্তারা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত