নিজস্ব প্রতিবেদক

২৭ এপ্রিল, ২০২১ ১৮:৪০

‘আল্লাহরে ভয় পান না আপনি?’

রাজধানীর গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে তরুণীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার নিয়ে দেশজুড়েই চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। সোমবার রাতে মোসারাত জাহান মুনিয়া নামের ওই তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সে রাতেই তরুণীর বড় বোন বাদী হয়ে দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী গ্রুপ বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেয়ার অভিযোগে মামলা করেন।

এই ঘটনা নিয়ে তোলপাড়ের মধ্যে ফেসবুকে একটি ওডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে। ওই ওডিওতে এক নারী ও পুরুষকে কথা বলতে শোনা যায়। নেটিজেনদের দাবি, এটি মোসারাত জাহান মুনিয়া ও সায়েম সোবহান আনভীরের আলাপচারিতা। তবে এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

ছড়িয়ে পড়া অডিও ক্লিপে ওই পুরুষকে বলতে শোনা যায়, 'আমার টাকাটা দিয়া দিস, তুইই আমার টাকা নিছস।'

জবাবে কান্নায় ভেঙে পড়ে নারী বলেন, 'আল্লাহরে ভয় পান না আপনি? আপনাকে কে বলছে আমি ৫০ লাখ টাকা নিছি, আমি কোনো টাকা নেই নাই।'

এক মিনিটের কিছুটা বেশি সময়ের এই অডিও ক্লিপে ওই নারীকে উদ্দেশ্য করে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি করতে শোনা যায় অপরপ্রান্তের পুরুষকে।

মারা যাওয়া মুনিয়া রাজধানীর একটি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায়।

ঢাকা মহানগর পুলিশের গুলশান জোনের উপ কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, জানান, সোমবার সন্ধ্যার দিকে গুলশান ২ নম্বরের ১২০ নম্বর সড়কের ফ্ল্যাট থেকে ওই তরুণীর ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ।

মামলার বরাত দিয়ে উপ কমিশনার বলেন, মেয়েটির সঙ্গে বসুন্ধরা গ্রুপের এমডির সম্পর্ক দুই বছরের। এমডি এক বছর মেয়েটিকে বনানীর ফ্ল্যাটে রাখেন। পরে মনোমালিন্য হলে মেয়েটি কুমিল্লায় চলে যায়। তবে মার্চ মাসে ঢাকায় এসে গুলশানের ওই ফ্ল্যাটে থাকা শুরু করেন। ফাঁস হওয়া অডিও ক্লিপের ব্যাপারে তদন্ত চলছে বলে জানান তিনি।

এদিকে, মামলা দায়েরের পর বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরের বিদেশে যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত।

মঙ্গলবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক শহিদুল ইসলাম এই আদেশ দেন।

এর আগে তার বিদেশ যাতায়াতের ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে আবেদন করেন মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার পরিদর্শক মোল্লা আবুল হাসান।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত