সিলেটটুডে ডেস্ক

২৯ এপ্রিল, ২০২১ ১৫:৪০

ইউনাইটেড হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ড: ২৫ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ

রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া পাঁচ ব্যক্তির মধ্যে চারজনের প্রত্যেকের পরিবারকে ২৫ লাখ করে টাকা প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এক মাসের মধ্যে এই টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ হাই কোর্টের আদেশ সংশোধন করে এ নির্দেশ দেন। নিহত পাঁচ ব্যক্তির মধ্যে মনির হোসেনের পরিবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমঝোতা করায় আদালত তার বিষয়ে কোনো আদেশ দেননি।

আদালতে আজ রিট আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন, আইনজীবী অনীক আর হক, হাসান এম এস আজীম, মুনতাসির আহমেদ ও নিয়াজ মোহাম্মদ মাহবুব। ইউনাইটেড হাসপাতালের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান খান ও আইনজীবী তানজীব উল আলম।

পরে আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে আইনজীবী অনিক আর হক বলেন, আপিল বিভাগ প্রাথমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত চারটি পরিবারকে ২৫ লাখ টাকা করে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী এক মাসের মধ্যে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে এই অর্থ পরিশোধ করতে বলা হয়েছে।

এর আগে চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া পাঁচ ব্যক্তির মধ্যে চার জনের প্রত্যেকের পরিবারকে তাৎক্ষণিক ৩০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে প্রত্যেক পরিবারকে ১৫ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।

বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। পরে ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের আদেশ আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতের বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান।

অতঃপর চেম্বার আদালত ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আবেদনটি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ প্রাথমিক ক্ষতিপূরণ হিসেবে চার পরিবারকে ৩০ লাখের জায়গায় ২৫ লাখ করে দেওয়ার নির্দেশ দিলেন।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ২৭ মে রাতে ইউনাইটেড হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ইউনিটে শীতাতপ যন্ত্র (এসি) বিস্ফোরণের আগুনের সূত্রপাট ঘটে। পরে ঘটনাস্থল থেকে পাঁচটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত পাঁচজনের পরিচয়ও শনাক্ত করা হয়। নিহতদের মধ্যে চারজন পুরুষ ও একজন নারী। তারা হলেন- রিয়াজুল আলম (৪৫), খোদেজা বেগম (৭০), ভেরুন অ্যান্থনি পল (৭৪), মো. মনির হোসেন (৭৫) ও মো. মাহবুব (৫০)।

পরে এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়। ওই রিটের শুনানির পর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি), ফায়ার ব্রিগেড কর্তৃপক্ষ ও রাজউকের কাছে পৃথক পৃথক প্রতিবেদন চেয়েছিলেন হাইকোর্ট। পরে আদালতে দাখিল করা তিনটি প্রতিবেদনে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলার তথ্য উঠে আসে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত