০৪ ডিসেম্বর, ২০১৫ ২১:৩৩
সমঅধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করতে জনসংখ্যার ভিত্তিতে সংখ্যালঘুদের জনপ্রতিনিধিত্ব ও ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ।
পরিষদের সমাবেশে বক্তারা বলেন, সংখ্যালঘুরা এখনো দেশ ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হচ্ছেন, অসাম্প্রদায়িক চেতনার সরকার ক্ষমতায় থাকলেও সংখ্যালঘুদের ক্ষমতায়ন হয়নি।
সমঅধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার দাবিতে শুক্রবার রাজধানীতে মহাসমাবেশ করে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। বক্তাদের দাবি, সরকার পরিবর্তন হলেও ৪৪ বছরে সংখ্যালঘুদের প্রতি রাষ্ট্রের মৌলিক আচরণ একই রয়েছে।
হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের উপদেষ্টা সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত বলেন, গত সাত বছরে সংখ্যালঘুদের প্রতিনিধিত্ব করার মতো কোনো প্রচেষ্টা রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়নি। তাদের বঞ্চিত করা হয়েছে।
মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, যে দেশে সংখ্যালঘুরা নিজের ইচ্ছায় নিজেদের সব সংখ্যাগরিষ্ঠের কাছে বিক্রি করে দেন; সেই দেশে সংখ্যালঘুরা থাকবে কেমন করে আপনারাই জবাব দিন?
সমাবেশে ৭ দফা দাবি উপস্থাপন করা হয় পরিষদের পক্ষ থেকে।
হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশ গুপ্ত বলেন, জাতীয় সংসদে সংখ্যালঘু ও আদিবাসী জনগোষ্ঠীর যথাযথ অংশীদারিত্ব ও প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে যুক্ত নির্বাচনের ভিত্তিতে শতকরা বিশভাগ হারে ৭টি আসন সংরক্ষণ করতে হবে।
আগামী ৬ মাসের মধ্যে দাবি আদায় না হলে বৃহত্তর সমাবেশ ও আন্দোলনে যাওয়ার কথা জানান পরিষদের নেতারা।
আপনার মন্তব্য