সিলেটটুডে ডেস্ক

০৩ জানুয়ারি, ২০২২ ২১:২২

২০২১ সালে নির্যাতনের শিকার ৩ হাজার ৭০৩ নারী-শিশু

২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ৩ হাজার ৭০৩ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদ এ তথ্য জানিয়েছেন।

তাদের সংরক্ষিত ১৩টি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে এ তথ্য উত্থাপন করা হয়। সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।

পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ অনুসারে ২০২১ সালের জানুয়ারি-ডিসেম্বর মোট ৩ হাজার ৭০৩ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ধর্ষণের শিকার হয়েছে ১ হাজার ২৩৫ জন, তন্মধ্যে ৬২৯ জন কন্যাশিশুসহ ১০১৮ জন ধর্ষণের শিকার, ৬২ জন কন্যাশিশুসহ ১৭৯ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার, ২২ জন কন্যাশিশুসহ ধর্ষণের পর হত্যার শিকার ৩১ জন, ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যা করেছে ৭ জন।

এছাড়াও ৯৩ জন কন্যাশিশুসহ ১৫৫ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। ১৪ জন কন্যাশিশুসহ ৩৩ জন শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছে। ৬২জন কন্যাশিশুসহ ৯৫ জন যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে। ৫ জন কন্যাশিশুসহ এসিডদগ্ধের শিকার হয়েছে ২২ জন, তন্মধ্যে এসিডদগ্ধের কারণে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছে ৩ জন কন্যাশিশুসহ ২৩ জন, তাদের মধ্যে অগ্নিদগ্ধের কারণে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১৫৩ জন কন্যাশিশুসহ নারী ও কন্যাশিশু অপহরণ হয়েছে ১৮০ জন।

এছাড়াও ৮ জন কন্যাশিশুসহ ১১ জনকে অপহরণের চেষ্টা করা হয়েছে। ৬ জন কন্যাশিশুসহ ৪২ জন নারী ও কন্যাশিশু পাচার করা হয়েছে। ২ জনকে পতিতালয়ে বিক্রি করা হয়েছে। ৩২ জন কন্যাশিশুসহ ৪৬ জন উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছে তন্মধ্যে ১ জন কন্যাশিশুসহ উত্ত্যক্তকরণের আত্মহত্যা করেছে ২ জন।

১ জন কন্যাশিশুসহ যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১৩৮ জন, তন্মধ্যে ৪৫ জনকে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে। ৫৮ জন কন্যাশিশুসহ শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ২০৮ জন। বিভিন্ন কারণে ১১৪ জন কন্যাশিশুসহ ৪৪৪ জন নারী ও কন্যাশিশুকে হত্যা করা হয়েছে।

এছাড়াও ১৯ জন কন্যাশিশুসহ ৮৭ জনকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। ১৩১ জন কন্যাশিশুসহ ৪২৭ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ৪৩ জন কন্যাশিশুসহ ১২১ জনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। আত্মহত্যার প্ররোচনার ঘটনা ঘটেছে ৪ টি। ৫ জন কন্যাশিশুসহ আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে ১১ জন।

প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের ঘটনা ঘটেছে ৪টি। ফতোয়ার ঘটনা ঘটেছে ২টি। বাল্যবিবাহ সংক্রান্ত ঘটনা ঘটেছে ৩২৭ টি তন্মধ্যে প্রতিরোধ করা হয়েছে ৪৩ টি। ২৩ জন কন্যাশিশুসহ ৬৩ জন সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছে। এছাড়াও ২৬ জন নারী ও কন্যাশিশু অন্যান্য নির্যাতনের শিকার হয়েছে।

উল্লেখ্য, সংবাদপত্রের রিপোর্ট অনুযায়ী গত ৭ ডিসেম্বর করোনার সময়ে শুধুমাত্র কিশোরগঞ্জ জেলাতেই মাদ্রাসার ২৬০ জন ছাত্রীর বাল্যবিবাহের ঘটনা ঘটেছে। গত ৩ অক্টোবর পর্যন্ত করোনাকালীন সময়ে দীর্ঘ দেড় বছরে শুধুমাত্র টাঙ্গাইল জেলাতেই ১২৪২টি বাল্যবিবাহ হয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত