সিলেটটুডে ডেস্ক

০৪ জানুয়ারি, ২০২২ ১৫:৫৩

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য দুর্ভাগ্যজনক: হাই কোর্ট

কক্সবাজারে এক পর্যটককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য দুর্ভাগ্যজনক ও অপ্রত্যাশিত বলে মন্তব্য করেছেন হাই কোর্ট। আদালত আরও বলেছেন, একই ঘটনা তদন্তের সময় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর কাছ থেকে ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য আসলে পরবর্তীতে সত্য ঘটনা উদঘাটন হলেও সাধারণ মানুষ নানারকম ধারণা পোষণ করেন।

মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) এই গণধর্ষণের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে করা রিটের শুনানিতে অংশ নিয়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব মন্তব্য করেন।

কক্সবাজারে নারী পর্যটককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে করা রিটের শুনানিতে হাইকোর্ট বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থার ভিন্ন ভিন্ন (স্টেটমেন্ট) বক্তব্য কাম্য নয়। ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য আসলে পরবর্তীতে সত্য ঘটনা উদঘাটন হলেও সাধারণ মানুষ নানা রকম ধারণা পোষণ করে।

হাইকোর্ট বেঞ্চ বলেন, গ্রেপ্তার-মামলা কিংবা তদন্তের স্বার্থে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি এজেন্সি আরেকটি এজেন্সিকে সহযোগিতা করতে পারে। তবে তদন্ত চলাকালে তদন্ত কর্মকর্তাদের কথা কম বলাই ভালো।

আদালত আজ কোনো আদেশ না দিয়ে রিটটি স্যান্ডওভার রেখে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমারাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করে বলতে বলেন যে, তারা যেন ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য না দেয়।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আবদুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া রাসেল ও আইনজীবী রাশিদা চৌধুরী নিলু। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমারা, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ ও দেলোয়ার হোসেন।

কক্সবাজারে পর্যটককে গণধর্ষণের অভিযোগের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া রাসেল সোমবার হাইকোর্টে রিটটি করেন।

রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইজিপি, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন সচিব, জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপারসহ ৬ জনকে বিবাদী করা রিটে ধর্ষণের অভিযোগে জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থার নির্দেশনার পাশাপাশি রুল চাওয়া হয়।

গত ২২ ডিসেম্বর কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্ট থেকে ২৫ বছর বয়সী এক নারীকে তুলে নিয়ে তার স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে একটি আবাসিক হোটেলে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠে। পরদিন ওই নারীর স্বামী ৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয়ের আরও ৩ জনের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর থানায় মামলা করেন।

পরে ওই ঘটনা নিয়ে পুলিশ ও র‌্যাব ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য দেয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত