সিলেটটুডে ডেস্ক

০৬ ডিসেম্বর, ২০১৫ ১১:২২

ফেসবুকের সঙ্গে বৈঠকে সরকার

আপত্তিকর কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে সরকার। রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়।

দুই শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মুজাহিদের ফাঁসির দণ্ড সুপ্রিম কোর্ট থেকে নিশ্চিত হওয়ার পর নিরাপত্তার কারণ দেখি জনপ্রিয় এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি বাংলাদেশে বন্ধ থাকার মধ্যে এই আলোচনা হচ্ছে। তবে এ আলোচনা ফেসবুকের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সম্পর্কিত।

ফেসবুক কর্তৃপক্ষের এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের দুই কর্মকর্তা দিপালী লিবার হেন (দক্ষিণ এশিয়ার পলিসি ম্যানেজার) ও বিক্রম লাংয়ের (রাজনৈতিক ও আইন উপদেষ্টা) সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

বৈঠকে বিটিআরসিসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীরা কর্মকর্তারাও উপস্থিত রয়েছেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের চিঠিতে সাড়া দিয়ে ফেসবুক কর্মকর্তারা এ বৈঠকে বসেছেন।

নারী ও শিশুর প্রতি অবমাননাকর বিষয়সহ সাইবার ক্রাইম রোধ এবং আপত্তিকর কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণে ৩০ নভেম্বর ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে ই-মেইলে চিঠি পাঠান তারানা হালিম। তার একদিন পর চিঠির জবাদ দেয় ফেসবুক কর্তৃপক্ষ, যাতে আলোচনায় বাসার সময় নির্ধারণ করা হয়।

র্তমানে দেশে ৫ কোটি ৪১ লাখ সক্রিয় ইন্টারনেট গ্রাহকের মধ্যে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা এক কোটি ৭০ লাখ।

মানহানিকর কনটেন্ট, নারীর প্রতি অবমাননা, রাজনৈতিক অপপ্রচার ও জঙ্গি কার্যক্রমে উৎসাহ দিয়ে অস্থিতিশীলতার সৃষ্টির নানা চেষ্টা ফেসবুকের মাধ্যমে ঘটে বলে সরকারের পক্ষ থেকে অভিযোগ। কিন্তু ফেসবুকের সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো ধরনের চুক্তি না থাকায় ফেসবুকের অপব্যবহারের মাধ্যমে ঘটা এসব অপরাধমূলক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয় না।

উল্লেখ্য, গত আড়াই বছরে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে ৩৭ জনের তথ্য চেয়ে সাড়া পায়নি বাংলাদেশ । ‘গ্লোবাল গভর্নমেন্ট রিকোয়েস্টস রিপোর্ট’ নামে ২০১৩ সাল থেকে ৬ মাস পর পর একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।

গত ১১ নভেম্বর প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৫ সালের জানুয়ারি-জুন সময়ে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে তিনজন ব্যবহারকারীর তথ্য চাওয়া হয়।

এর আগে ২০১৩ সালের জানুয়ারি-জুন সময়ে ১২ জন, ২০১৪ সালের জানুয়ারি-জুন সময়ে ১৭ জন ও জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে পাঁচজনের তথ্য চেয়েছিল সরকার। ফেসবুক কারও তথ্যই দেয়নি।

তবে ২০১৩ সালের জুলাই-ডিসেম্বরে মধ্যে তিনটি ‘কনটেন্ট’ দেখার সুযোগ বন্ধ রাখার বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে সাড়া দেয় বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় এ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটির কর্তৃপক্ষ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত