২৩ ডিসেম্বর, ২০১৫ ১৪:০৮
অপহরণের ১৪ দিন পর রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) শাখা ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সাইফুজ্জামান সোহাগকে উদ্ধার হয়েছেন।
বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) ভোর ৪টার দিকে চোখ বাঁধা অবস্থায় দুর্বৃত্তরা তাকে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ফেলে যায়। পরে সোহাগ ফোন করে তার বাবাকে জানায়। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা দ্রুত গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে সোহাগকে উদ্ধার করে।
সাইফুজ্জামান সোহাগের বাবা আক্কাস উজ্জামান জানান, বুধবার ভোর ৪টার দিকে তার অপহৃত ছেলে সোহাগ ফোন করে জানায় সে মিরসরাইয়ে আছে। অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা তার চোখ বেঁধে তাকে মিরসরাইয়ে ফেলে যায়। খবর পেয়ে তিনি ঢাকায় অবস্থানরত তার শ্যালককে ঘটনাস্থলে গিয়ে ছেলেকে উদ্ধার করতে বলেন। দুপুরে সোহাগকে মিরসরাই থেকে নিয়ে তারা ঢাকায় ধানমণ্ডিতে পৌঁছান।
আক্কাস উজ্জামান জানান, দুপুর দেড়টার দিকে ছেলেকে নিয়ে ঢাকা থেকে তারা রাজশাহীর উদ্দেশে রওনা দেন। তার ছেলে ভালো আছে, তবে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত বলেও জানান তিনি। অপহরণের পর থেকে এতোদিন তাকে চোখ বেঁধে রাখা হয়েছিল। তবে কারা অপহরণ করেছিল সে বিষয়ে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি। তাকে উদ্ধারে পুলিশের সহযোগীতা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি জানান, সন্ধ্যা ৭টায় রাজপাড়া থানায় তাকে নিয়ে যাওয়া হবে।
পুলিশ অপহরণের ঘটনায় নারায়নগঞ্জ ও রাজশাহী থেকে আটক দুইজনকে তিনদিনের রিমান্ডে নিয়ে গত সোমবার থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। তারা হলেন- ঢাকার দক্ষিণখান থানার ফাইজবাদ এলাকার আব্দুল আউয়াল খানের ছেলে ও রুয়েটের সাবেক শিক্ষার্থী ইঞ্জিনিয়ার ফারজাদুল ইসলাম মিরন (২৮) এবং রাজশাহী নগরীর নওদাপাড়া এলাকার শওকত আলীর ছেলে ও রুয়েটের সিভিল বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্র ইসফাক ইয়াসিফ ইপু (২১)।
গত ৯ ডিসেম্বর রাত ৩টার দিকে র্যাব পরিচয়ে ৬-৭ জন লোক রাজশাহীর তেরখাদিয়া পশ্চিমপাড়া এলাকায় সোহাগের বাড়িতে যান। র্যাবের পোশাক পরা দেখে বাড়ির লোকজন দরজা খুলে দিলে তারা সোহাগের ঘরে ঢুকে ল্যাপটপ ও মোবাইলের মেমোরি কার্ডসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইস চায়। সেগুলো নেয়ার পর তারা সোহাগকে একটি মাইক্রোবাসে উঠিয়ে নিয়ে চলে যায়।
এরপর সোহাগের বাবা ও শ্বশুর র্যাব রাজশাহীর সদর দফতর ও বোয়ালিয়া থানায় খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাকে নেয়নি। এরপর ছেলের সন্ধান চেয়ে ১১ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলন করেন সোহাগের বাবা আক্কাসউজ্জামান। ওই ঘটনায় ১৩ ডিসেম্বর রাতে রাজপাড়া থানায় সোহাগের বাবা আক্কাসউজ্জামান বাদি হয়ে অপহরণ মামলা করেন।
আপনার মন্তব্য