সিলেটটুডে ডেস্ক

০৯ মে, ২০২৩ ২৩:৫৬

বিয়েতে রাজি না হওয়ায় ছাত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করলেন ইমাম

বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় রাবেয়া আক্তার নামে এক কলেজছাত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ওই কলেজছাত্রীর মা ও বোনও গুরুতর আহত হয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে, সাইদুল ইসলাম নামে স্থানীয় এক মসজিদের ইমাম এই ঘটনা ঘটিয়েছেন।

গাজীপুর মহানগরীর দক্ষিণ সালনা এলাকায় সোমবার রাতে এই ঘটনা ঘটে। নিহত কলেজছাত্রী রাবেয়া আক্তার স্থানীয় বাসিন্দা আবদুর রউফের মেয়ে। এ ঘটনায় রাবেয়ার মা বিলকিস বেগম ও ছোট বোন খাদিজাকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে বিলিকিস বেগম নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

স্বজনদের বরাত দিয়ে গাজীপুর সদর মেট্রোপলিটন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল হক জানান, আবদুর রউফ গাজীপুর মহানগরীর দক্ষিণ সালনা এলাকায় স্ত্রী ও চার মেয়েকে নিয়ে বসবাস করেন। বড় মেয়ে রাবেয়া আক্তার ২০২০ সালে জয়দেবপুর সরকারি মহিলা কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এরপর ইউরোপে পড়তে যাওয়ার জন্য ভিসাসহ আনুষঙ্গিক কার্যক্রম প্রসেসিং করতে থাকেন।

আবদুর রউফ তার ছোট দুই মেয়ে খাদিজা ও জান্নাতকে কোরআন শিক্ষার জন্য স্থানীয় টেকিবাড়ি জামে মসজিদের ইমাম মো. সাইদুল ইসলামকে দায়িত্ব দেন। তাদের পড়ানোর জন্য বাসায় যাওয়া-আসার সুবাদে রাবেয়া আক্তারের দিকে তার কুনজর পড়ে। কিছুদিন পর তিনি রাবেয়াকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে তা সরাসরি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা হয়। এক পর্যায়ে তাকে বাসায় এসে পড়ানোর জন্য নিষেধ করা হয়। সাইদুল এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রাবেয়াকে বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন।

সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সাইদুল বাড়িতে ঢুকে রাবেয়াকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। তার চিৎকারে মা ও বোন এগিয়ে এলে তাদেরকেও কুপিয়ে আহত করে পালিয়ে যান সাইদুল।

স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাবেয়া মারা যান। গুরুতর আহত মা ও ছোট বোনকে ঢাকায় পাঠানো হয়।

ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে সাইদুল ইসলামকে আসামি করে মামলা করেছেন। আসামিকে ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত