নিজস্ব প্রতিবেদক

১৯ মে, ২০২৩ ০০:২৯

আবদুল গাফফার চৌধুরীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

ছবি: সংগৃহীত

বিশিষ্ট সাংবাদিক, কলামিস্ট ও সাহিত্যিক আবদুল গাফফার চৌধুরীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। গত বছরের ১৯ মে লন্ডনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বরেণ্য এই ব্যক্তিত্ব।

আবদুল গাফফার চৌধুরী একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে মুজিবনগর সরকারের মাধ্যমে নিবন্ধিত স্বাধীন বাংলার প্রথম পত্রিকা সাপ্তাহিক জয় বাংলার প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী সম্পাদক ছিলেন। তিনি ভাষা আন্দোলনের স্মরণীয় গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’র রচয়িতা।

বিশিষ্ট সাংবাদিক, সাহিত্যিক ও কলামিস্ট আবদুল গাফফার চৌধুরী বরিশাল জেলার এক জলবেষ্টিত গ্রাম উলানিয়ার চৌধুরী বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা হাজি ওয়াহিদ রেজা চৌধুরী ও মা মোসাম্মৎ জহুরা খাতুন। তিন ভাই, পাঁচ বোনের মধ্যে বড় ভাই হোসেন রেজা চৌধুরী ও ছোট ভাই আলী রেজা চৌধুরী। বোনেরা হলেন মানিক বিবি, লাইলী খাতুন, সালেহা খাতুন, ফজিলা বেগম ও মাসুমা বেগম।

স্থানীয় মাদ্রাসায় এবং হাইস্কুলে পড়াশোনা শেষ করে আবদুল গাফফার চৌধুরী ভর্তি হয়েছিলেন ঢাকা কলেজে, পরবর্তীকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। উনিশশো পঞ্চাশের দশকের ঢাকায় তার কর্মজীবন শুরু হয় দৈনিক ইনসাফে। এরপর একে একে কাজ করেছেন দৈনিক সংবাদ, মিল্লাত, দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক আজাদ, দৈনিক পূর্বদেশসহ বিভিন্ন পত্রিকায়। তিনি মূলত নাম করেছিলেন রাজনৈতিক কলাম লেখক হিসেবে।

বঙ্গবন্ধুর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর এর প্রতিবাদ করে উনি লন্ডনের এক কাগজে প্রথম লেখেন। এর ফলে তাকে সরকারের রোষে পড়তে হয়। সে সময় উনার খুব কষ্টের জীবন গেছে। দোকানে কাজ করেছেন, এখানে ওখানে শিক্ষকতা করেছেন।

সাংবাদিকতার পাশাপাশি গল্প, উপন্যাস, স্মৃতিকথা, ছোটদের উপন্যাসও লিখেছেন তিনি। ‘চন্দ্রদ্বীপের উপাখ্যান’, ‘সম্রাটের ছবি’, ‘ধীরে বহে বুড়িগঙ্গা’, ‘বাঙালি না বাংলাদেশি’সহ তার প্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা প্রায় ৩০। এছাড়া তিনি কয়েকটি পূর্ণাঙ্গ নাটক লিখেছেন। এর মধ্যে রয়েছে ‘একজন তাহমিনা’ ‘রক্তাক্ত আগস্ট’ ও ‘পলাশী থেকে বাংলাদেশ’।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত