সিলেটটুডে ডেস্ক

১৪ জানুয়ারি, ২০১৬ ১৫:০২

শিক্ষকদের দাবি গ্রহণযোগ্য : শিক্ষামন্ত্রী

আন্দোলনরত শিক্ষকদের দাবি গ্রহণযোগ্য স্বীকারে করে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, শিক্ষকদের দাবি গ্রহণযোগ্য। এ দাবি বাস্তবায়নের জন্য ইতিমধ্যে শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। শিগগিরই তাদের দাবি পূরণ হবে।

বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) আয়োজিত বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি ও শিক্ষকদের অরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আন্দোলনরত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের দাবি গ্রহণযোগ্য। তাদের দাবি বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষাসচিবকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আশা করছি, শিগগিরই তাদের দাবি পূরণ হবে।

মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে দুর্গম এলাকায় শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় ফেল করার বিষয়ে তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার সময় এসএসসি ও সমানের পরীক্ষায় অর্ধেকের বেশি শিক্ষার্থী ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞানে ফেল করতো। যে কারণে ফেলের হার বেশি ছিল।

এ সময় মন্ত্রী আরও বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের ফেলের কারণ অনুসন্ধান করে দেখেছি দুর্গম এলাকায় শিক্ষার্থীরা তিনটি বিষয়ে দুর্বল। আর তাই সেকায়েপ প্রকল্পের মাধ্যমে ২০১৫ সালে দুর্গম এলাকার চার শ স্কুলে ২৫,০০০ টাকা বেতন দিয়ে ২,৪০০ জন মেধাবী শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছিলাম। তিনটি বিষয়ে তারা ১ লাখ ৫৪ হাজার অতিরিক্ত ক্লাস করেছে। যার কারণে এখন ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞানে শিক্ষার্থী ফেলে কমেছে।

এর ফলে পাসের হার ও বিজ্ঞানে শিক্ষার্থী বাড়ছে। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে আরো ২,০০০ স্কুলে এ প্রকল্পের অধীনে নিয়ে আসা হবে, জানান শিক্ষামন্ত্রী। অরিয়েন্টেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সেকায়েপ প্রকল্পের পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব ড. মো. মাহমুদুল হকের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন- শিক্ষাসচিব মো. সোহবার হোসেন ও মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন প্রমুখ।

উল্লেখ্য, বেতন বৈষম্য নিরসনে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দাবি পূরণ না হওয়ায় গত সোমবার (১১ জানুয়ারি) থেকে দেশের মোট ৩৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ হাজার শিক্ষকরা লাগাতার কর্মবিরতি পালন শুরু করেছেন।

অষ্টম বেতন কাঠামো ঘোষণার পর থেকেই গ্রেডে মর্যাদার অবনমন এবং টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বাতিলের প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষকরা। এরপর সরকার বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের এই দাবি পর্যালোচনায় কমিটি করে। কমিটির সভাপতি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত শিক্ষকদের নিয়ে বৈঠকও করেন।

গত ৬ ডিসেম্বর বৈঠকে অর্থমন্ত্রী শিক্ষকদের তিনটি দাবি মেনে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও ১০ দিন পর বেতন কাঠামোর গেজেটে প্রথম দুটি দাবির প্রতিফলন ঘটেনি বলে শিক্ষকদের অভিযোগ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত