সিলেটটুডে ডেস্ক

১৭ জানুয়ারি, ২০১৬ ০০:৩৭

পুলিশ রাজা হলে হাসিনা কে?

দেশের রাজা পুলিশ হলে শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ কারার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি নিধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

শনিবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টন ভাসানী ভবনে ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সভায় তিনি এ কথা বলেন। নগর আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবকে ছাড়াই এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সদ্য প্রয়াত ড. আর এ গণি স্মরণে সভায় ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

সভায় ঢাকা মহানগীর আহ্বায়ক কমিটির সকল সদস্য ও মহানগরের সকল থানা কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, আহ্বায়ক ও যুগ্ম-আহ্বায়করা উপস্থিত ছিলেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, ‘সিটি করপোরশনের এক কমকর্তাকে পুলিশ বেধড়ক লাঠিপেঠা করে বলেছে- মাছের রাজা ইলিশ আর দেশের রাজা পুলিশ। শেখ হাসিনাকে আমি বলবো আজকেই পদত্যাগ করেন। কারণ পুলিশ যখন দেশের রাজা তাহলে আপনি কে?’

তিনি বলেন, ‘সরকার রাজধানীতেই থাকে। রাজা রাজত্বের জন্য রাজধানী রক্ষার চেষ্টা করে। শেখ হাসিনা ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে ঢাকা নিয়ন্ত্রণে রেখেছিলেন। রাজধানী যদি ফাঁকা থাকে সব সরকারই পতন হয় রাজধানীতে। ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে আমরা রাজধানী ছেড়ে দিয়েছিলাম। আমাদের হারিয়ে যাওয়া অতীত গৌরবকে ফিরে পেতে চাই। আমরা যারা রাজধানীতে বসবাস করি তাদেরকে বুঝতে হবে রাজধানীতে থেকেই স্বৈরাচার বিতারিত করবো।’

তিনি আরো বলেন, ‘বিএনপি বিরোধী দল নয়, একটি রাজনৈতিক দল। আমরা বিরোধী দল বলবো না এ কারণেই কারণ দেশে কোনো বৈধ সরকার নেই। নির্বাচিত দলীয় সরকার থাকলে একটি বিরোধী দল থাকতে পারে। বর্তমানে রওশনের নেতৃত্বে যে বিরোধী দল আছে সেটা বিরোধী দল না সেটা সরকারের অংশ।’

‘বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস হয়তো সর্বক্ষেত্রে সফল হতে পারে নাই। তবে তার বিএনপিতে অবদান কম নয়। তিনি জেলে গেছেন কোনো টু শব্দ নাই। ঘরে বসে জেলের তালা ভাঙা যায় না। জেলের তালা ভাঙতে হলে সময় মতো যথা স্থানে থাকতে হয়’, বললেন গয়েশ্বর।

নেতাকর্মীদের উপদেশ দিয়ে বিএনপির এ জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘আজকের সভায় যাদের একান্তই থাকার কথা ছিল তাদের উপস্থিতি অত্যান্ত কম। আর যাদের থাকার কথা নয় তারাও আসছেন। এটা সমস্যা। সব মিটিংয়ে সবার আসার দরকার নেই। মহানগর বিএনপির এক চর্তুতাংশ নেতাকর্মী পলাতক। ৫ জানুয়ারি খালেদা জিয়ার মঞ্চে যাদের থাকার কথা ছিল তারা অনেকেই ছিলেন। যাদের মঞ্চের ২০ গজের মধ্যেও থাকার কথা নয়, তারাও এসেছেন নির্লজ্জভাবে। এদেরকে আর কি বলবো?’

তিনি বলেন, ‘আমরা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কর্মী। এরপর কোনো ভাই-বোন নাই। আমরা কারোটা খাইও না, পরিও না। যে কোনো সফলতার পূর্বশর্ত হচ্ছে ঐক্যবদ্ধতা। কিন্তু আমাদের মধ্যে ইউনিটির অভাব আছে এটা মুখে না বললেও আমরা বুঝি। আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ঐক্যবদ্ধ থাকলে সব কাজ কার যাবে।’

আর এ গণিকে স্মরণ করে গয়েশ্বর বলেন, ‘বিএনপির জন্ম থেকে শেষ পর্যন্ত আর এ গণি দলের সাথে কখনো অভিমান করে দূরে সরে থাকেননি।’

সবশেষে ১৮ জানুয়ারি জিয়াউর রহমানের জন্মদিনের আলোচনা সভা, ১৯ জানুয়ারি জিয়ার মাজারে ফাতেহা পাঠ ও ২০ জানুয়ারি মির্জা আব্বাসসহ সকল রাজনৈতিক নেতাদের জেলে রাখার প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত থেকে সফল করার আহ্বান জানান গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের মাজারে ঠিকঠাকমতো যেতে হবে। এটাই আমাদের ঠিকানা।’

ঢাকা মহানগরের যুগ্ম-আহ্বায়ক কাজী আবুল বাশারের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আবুল খায়ের ভূইয়া, যুববিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত