সিলেটটুডে ডেস্ক

২৩ মার্চ, ২০২৪ ০২:০৭

জাস্টিন ট্রুডোর জন্মসনদ-কাণ্ডে পাবনায় মামলা, তদন্তে কমিটি

চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ, সচিব আওলাদ ও কম্পিউটার অপারেটর নিলয়। ছবি: সংগৃহীত

পাবনায় কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর নামে জন্মসনদ তৈরির ঘটনায় মামলা হয়েছে।

ঘটনার তদন্তে স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে গঠন করা হয়েছে তিন সদস্যের কমিটি।

বৃহস্পতিবার সকালে সার্ভারে পাওয়া জন্মসনদটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ালে সুজানগর উপজেলার আহম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও সচিবকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।

পরে রাতে পাবনা জেলা প্রশাসনের নির্দেশে আহম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদের কম্পিউটার অপারেটর নিলয় পারভেজ ইমন এবং অজ্ঞাত তিনজনকে আসামি করে আমিনপুর থানায় মামলা করা হয়।

আমিনপুর থানার ওসি হারুনুর রশিদ বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে ইউপি সদস্য ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। বিষয়টি তদন্তে কাজ শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে কম্পিউটার অপারেটর নিলয় পারভেজ পলাতক রয়েছেন।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর নামে ভুয়া জন্মসনদ তৈরির বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশের পর ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়। পরে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক সাইফুর রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

সেইসঙ্গে কীভাবে জন্মসনদটি তৈরি হলো, কারণ জানতে চেয়ে আহম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবদুর রউফ মোল্লা ও সচিব আওলাদ হাসানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখার কথা জানিয়ে পাবনা জেলা প্রশাসক মু. আসাদুজ্জামান বলেন, “ঘটনাটি খুবই স্পর্শকাতর। তদন্ত কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সকাল পর্যন্ত সার্ভারে জন্মসনদটি ছিল। বিষয়টি জানাজানির পর দুপুর থেকে সার্ভারে জন্মসনদটি আর পাওয়া যায়নি।

সনদটিতে দেখা গেছে, ২০০৭ সালের ১ জানুয়ারি জন্মনিবন্ধন সনদটি ইস্যু করা হয়েছে। যেখানে নিবন্ধিত ব্যক্তি নাম হিসেবে রয়েছে জাস্টিন ট্রুডো, পিতা-পিয়েরে ট্রুডো, মাতা-মার্গারেট ট্রুডো। জন্ম তারিখ-২৫ ডিসেম্বর ১৯৭১। জন্মসনদের রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেওয়া হয়েছে ১৯৭১৭৬১৮৩১৭০৩৫৫০৯।

জানা গেছে, এ জন্মসনদের প্রথম চারটি ডিজিট ছিল ২০০৪। সেটা পরিবর্তন করে দেওয়া হয়েছে ১৯৭১। জন্মনিবন্ধনটির আসল মানুষের নাম আজিজুল। সেখানে দেওয়া হয়েছে জাস্টিন ট্রুডো। ১৯ মার্চ রাত ৯টা ৫১ মিনিটে পেমেন্ট হয়েছে। ৯টা ৫২ মিনিটে রিসিভ হয়েছে এবং রাত ৯টা ৫৪ মিনিটে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সেটি অনুমোদন (অ্যাপ্রুভ) করেছেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত