সিলেটটুডে ডেস্ক

২২ মে, ২০২৪ ১৪:০৪

নিষেধাজ্ঞা পেলেও যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সুযোগ আছে জেনারেল আজিজের

দুর্নীতিতে সম্পৃক্ততার অভিযোগে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের ওপর দেশটিতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

গতকাল মঙ্গলবার ভোরে যুক্তরাষ্ট্রের ফরেন অপারেশন অ্যান্ড রিলেটেড প্রোগ্রামস অ্যাপ্রোপ্রিয়েশনস আইনের ৭০৩১ (সি) ধারার আওতায় এ নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয় মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।

নিষেধাজ্ঞার ফলে জেনারেল আজিজ ও তার পরিবারের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। তবে যে আইনের অধীনে বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, সে আইনেই তার বা এই আইনের অধীনে নিষেধাজ্ঞা পাওয়া ব্যক্তিদের দেশটিতে প্রবেশের সুযোগ।

যুক্তরাষ্ট্রের ফরেন অপারেশন অ্যান্ড রিলেটেড প্রোগ্রামস অ্যাপ্রোপ্রিয়েশনস আইনের ৭০৩১ ধারাটি আর্থিক ব্যবস্থাপনা, বাজেট স্বচ্ছতা ও দুর্নীতি দমন নিয়ে। ধারাটির ‘সি’ অংশে সরকারি দুর্নীতি ও মানবাধিকার বিষয়ে বলা হয়েছে।

আইনের এই অংশে বলা হয়েছে, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে উল্লেখযোগ্য দুর্নীতি অথবা মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় জড়িত অন্য দেশের কোনো সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যদি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে বিশ্বাসযোগ্য তথ্য থাকে, তাহলে অভিযুক্ত সেই সরকারি কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।

এছাড়া মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে যদি বিশ্বাসযোগ্য তথ্য থাকে, তাহলে তিনি প্রকাশ্যে অথবা ব্যক্তিগতভাবে অন্য দেশের সরকারি কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে অভিযুক্ত ব্যক্তি ভিসার জন্য আবেদন করেছেন কিনা, তা বিবেচ্য নয়।

অবশ্য এ ক্ষেত্রে কিছু ব্যতিক্রমও রয়েছে। যদি এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রের আইনি কাঠামোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ হন অথবা জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তির আওতায় ওই ব্যক্তিকে যুক্তরাষ্ট্রে আসার প্রয়োজন হয়, তাহলে সে ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে সেই ব্যক্তিকে বাধা দেওয়া যাবে না।

নিষেধাজ্ঞায় ছাড় দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে আইনে। এতে বলা হয়েছে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী যদি মনে করেন, নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ব্যক্তির যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ জাতীয় স্বার্থের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, তাহলে তিনি এ নিষেধাজ্ঞায় ছাড় দিতে পারবেন। এ ছাড়া এমন কোনো পরিস্থিতি বা প্রেক্ষাপট যদি তৈরি হয় যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে দেওয়া প্রয়োজন, তখন বিষয়টি বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় ছাড় দিতে পারবেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত