সিলেটটুডে ডেস্ক

০৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:২১

শহিদ মিনারের ‘সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত’ কর্মসূচি স্থগিত

কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ ঢুকে পড়বে এবং সরকার থেকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে এই অভিযোগ এনে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে।

শিগগিরই উপযুক্ত দিনে ফের ওই কর্মসূচি আয়োজন করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) ‘সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত’ এর আয়োজক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী নুমান আহমাদ চৌধুরীর পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তি এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ‘অবসরপ্রাপ্ত বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহিল আমান আযমীর মহান জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের দাবির প্রেক্ষিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তৈরি হওয়া মবের প্রতিবাদে ৫ আগস্ট বিকেলে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী সকল পেশার মানুষদের নিয়ে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত গেয়ে নিন্দা প্রতিবাদ জানানোর কর্মসূচি নিয়েছিলাম। কর্মসূচি ঘোষণার পরই অনলাইন ও অফলাইনে আমরা ব্যাপক সাড়া পেতে থাকি। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করছি এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের সদস্যরা আমাদের কর্মসূচির মধ্যে ঢুকে নিজেদের পুনর্বাসনের পায়তারা করছে। পাশাপাশি সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে আমাদের এই বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে এবং কর্মসূচি ৫ আগস্ট (স্বৈরাচার পতনের দিন) থেকে পিছিয়ে আয়োজন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি মিসকমিউনিকেশনের কারণে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘শহিদি লংমার্চ’ এর সঙ্গে উক্ত কর্মসূচি একই দিনে প্রায় কাছাকাছি সময়ে হওয়ায় জনমনে কিছু ভুল ধারণার জন্ম হয়েছে বলেও পরিলক্ষিত হচ্ছে। আমরা জানাতে চাই ‘শহিদি লংমার্চ’ এর সঙ্গে আমাদের আয়োজন কোনোভাবেই সাংঘর্ষিক ছিল না এবং নয়।’

এতে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘দেশ ও জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে আমরা আজকের ‘সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত’ কর্মসূচিটি আয়োজকদের সর্বসম্মতিক্রমে আপাতত স্থগিত রেখে পিছিয়ে দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অতি শীঘ্রই উপযুক্ত দিন সময়ে আমরা কর্মসূচি আয়োজন করা হবে।’

উল্লেখ্য, একাত্তরের মানবতাবিরোধী মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত গোলাম আযমের পুত্র ও বরখাস্ত হওয়া সেনা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহিল আমান আযমী গত মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে শহীদের প্রকৃত সংখ্যা ও জাতীয় সংগীতের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে কথা বলেন। আমান আযমী বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত যেন নতুন করে লেখা হয়। বর্তমানে যে জাতীয় সংগীত চলছে, তা করেছিল ভারত। দুই বাংলাকে একত্র করার জন্য করা হয়েছিল এই জাতীয় সংগীত। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। তাই বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত নতুনভাবে হওয়া উচিত। আমান আযমী বলেন, জাতীয় সংগীত করার জন্য অনেক গান রয়েছে। এই সরকারের উচিত, নতুন কমিশন গঠন করে একটি নতুন জাতীয় সংগীত তৈরি করা।

তার এই বক্তব্য নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা ছড়িয়ে পড়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে বিতর্ক চলছে। এরই প্রেক্ষিতে দেশব্যাপী নেওয়া হয়েছে নানা প্রতিবাদী কর্মসূচি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত