০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ২৩:২১
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তাজুল ইসলামকে।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে আইন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক প্রজ্ঞাপনে এমন তথ্য জানানো হয়।
তাজুল ইসলাম ছাড়াও ট্রাইব্যুনালে আরও চার আইনজীবীকে প্রসিকিউটর পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন- মিজানুল ইসলাম, গাজী মোনাওয়ার হোসাইন তামিম, বিএম সুলতান মাহমুদ, আব্দুল্লাহ আল নোমান।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম অ্যাটর্নি জেনারেলের সমমর্যাদা ভোগ করবেন।
এতে আরও বলা হয়, এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয়। এই ট্রাইব্যুনালে ইতিমধ্যে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অনেকের বিচার ও সর্বোচ্চ শাস্তি কার্যকর হয়েছে। মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত আরও কয়েকজনের বিচার ট্রাইব্যুনালে চলছিল।
ছাত্র–জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন। এরপর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এই আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তাঁর সরকারের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ও দলের নেতাদের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনে হত্যার অভিযোগ জমা পড়েছে।
উল্লেখ্য, চিফ প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ পাওয়া মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম দীর্ঘ দিন আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্বে ছিলেন।
এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, গত ২৬ আগস্ট তিনি দল থেকে রিজাইন করেছেন। কারণ সরকারি কোনো দপ্তরের দায়িত্ব পালন করতে গেলে দলীয় পদে থাকা যায় না। আমরা বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছি। যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করা তাজুল ইসলামের পদে অন্য কাউকে রিপ্লেস করা হবে।
মঞ্জু আরও বলেন, কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আইনি সহায়তা দিতে একটি টিম গঠন করা হয়েছিল এবি পার্টির পক্ষ থেকে। চিফ প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ পাওয়া অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম এ টিমের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
আপনার মন্তব্য