১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ০০:২০
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াকে আটক করেছে র্যাব।
বুধবার রাতে রাজধানীর মহাখালী ফ্লাইওভার এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইং পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনিম ফেরদৌস।
আছাদুজ্জামান মিয়ার অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করতে ইতিমধ্যে দুই সদস্যর কমিটি গঠন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের উপপরিচালক মো. হুমায়ুন কবীরকে প্রধান করে দুই সদস্যের একটি টিম করা হয়েছ। কমিটি অপর সদস্য হলেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আলিয়াজ হোসেন।
গত ১৮ আগস্ট আসাদুজ্জামান মিয়ার অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানের সিদ্ধান্তের কথা জানান দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন। অভিযোগ অনুসন্ধানের পর যাচাই বাছাই ও গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই আছাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছিলেন। দুদকের সিদ্ধান্তের পরই তাদের দুর্নীতি অনুসন্ধানে এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
এর আগে গত ২৭ জুন আছাদুজ্জামান মিয়ার সম্পদের বিষয়ে অনুসন্ধানের আহ্বান জানিয়ে দুদক চেয়ারম্যানকে চিঠি দেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালাহ উদ্দিন রিগ্যান। ওই আইনজীবী তারা চিঠিতে জানান, আছাদুজ্জামানের বিপুল সম্পদের খবর প্রকাশ হলেও দুদক এ বিষয়ে কেন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না এ নিয়ে বিষ্মিত তিনি। এই বিষয়ে দুদকের নজরে আনতেই চিঠি দেন বলে জানান রিগ্যান।
দুদক সূত্রে জানা যায়, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার স্ত্রীর নামে ঢাকায় একটি বাড়ি ও দুটি ফ্ল্যাট এবং মেয়ের নামে একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জে তার স্ত্রী ও সন্তানদের নামে ৬৭ শতক জমি রয়েছে। এই তিন জেলায় তার পরিবারের সদস্যদের নামে রয়েছে আরও ১৬৬ শতক জমি।
আছাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে দুদকে আসা অভিযোগে বলা হয়েছে, আছাদুজ্জামান নিজ নামে, স্ত্রী আফরোজা জামান ও তিন সন্তান আসিফ শাহাদাত, আয়েশা সিদ্দিকা, আসিফ মাহাদীন এবং আরও অনেকের নামে-বেনামে হাজার-হাজার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন।
আছাদুজ্জামান মিয়ার তথ্য ফাঁস করে পুলিশের এডিসি জিসানুল হক বরখাস্তআছাদুজ্জামান মিয়ার তথ্য ফাঁস করে পুলিশের এডিসি জিসানুল হক বরখাস্ত আছাদুজ্জামান মিয়ার স্ত্রী আফরোজা জামানের নামে ঢাকায় একটি বাড়ি ও দুটি ফ্ল্যাট এবং মেয়ের নামে একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। এছাড়া ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জে আছাদের স্ত্রী ও সন্তানদের নামে কয়েকশ শতক জমি রয়েছে।
দুদক সূত্র জানায়, সংস্থাটির প্রাথমিক অনুসন্ধানে সাবেক এই কমিশানর তার চাকরি জীবনে বেতন-ভাতা বাবদ সাকুল্যে মোট আয় করেছেন প্রায় দুই কোটি টাকা।
আপনার মন্তব্য