সিলেটটুডে ডেস্ক

০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২২:০৫

তারেক রহমানের জন্য দেশে এলো টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার প্রাডো এলসি ২৫০ মডেলের ‘হার্ড জিপ’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ব্যবহারের জন্য বিদেশ থেকে আমদানি করা বিশেষ সুবিধাসম্পন্ন একটি ‘হার্ড জিপ’ গাড়ি দেশে পৌঁছেছে। টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার প্রাডো এলসি ২৫০ মডেলের এই গাড়িটি ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নামে নিবন্ধিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন ও ফিটনেস অনুমোদন দিয়েছে।

এর আগে, এর আগে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্বাচনী প্রচারণার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে দলটিকে দুটি বুলেটপ্রুফ গাড়ি কেনার অনুমতি দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে একটি গাড়ির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল গত জুনে, আরেকটির অনুমতি দেওয়া হয় অক্টোবর মাসে।

বিআরটিএ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সাদা রঙের সাত আসনের এই জিপটি চলতি বছর জাপানে উৎপাদিত হলেও এটি সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে আমদানি করা হয়েছে। গাড়িটি আমিরাতের ‘ভেলোস অটোমোটিভ এক্সপোর্টিং এলএলসি’ থেকে ঢাকার তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলস্থ প্রতিষ্ঠান ‘এশিয়ান ইমপোর্টস লিমিটেড’ আমদানি করেছে। চলতি বছরের ১ নভেম্বর চট্টগ্রামের ‘মা এসোসিয়েটস’-এর মাধ্যমে গাড়িটি দেশে পৌঁছায়।

দাম ও শুল্ক-কর
আমদানির বিল অব এন্ট্রির নথি অনুযায়ী, ২ হাজার ৮০০ সিসির এই জিপটির কেনা দাম দেখানো হয়েছে ৩৭ হাজার মার্কিন ডলার। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) প্রতি ডলারকে ১২২ টাকা ৪১ পয়সা হিসেবে শুল্কায়ন করেছে। এই হারে গাড়িটির ভিত্তিমূল্য বাংলাদেশি মুদ্রায় দাঁড়ায় ৪৫ লাখ ২৯ হাজার ১৭০ টাকা। তবে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ গাড়িটির অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু ৪১ হাজার ডলার ধরেছে।

গাড়িটি খালাস করার জন্য সরকারকে শুল্ক, ভ্যাট ও অন্যান্য কর বাবদ দিতে হয়েছে ২ কোটি ৩১ লাখ ১৬ হাজার ৯৪২ টাকা। সব মিলিয়ে গাড়িটির মোট খরচ দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৭৬ লাখ ৪৬ হাজার ১১২ টাকা।

নিবন্ধন ও ফিটনেস
বিআরটিএ সূত্রে জানা গেছে, গাড়িটি কোনো ব্যক্তির নামে নয়, বরং ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র নামে নিবন্ধন করা হয়েছে। মালিকের ঠিকানা হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ‘২৮/১ নয়াপল্টন’। গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন নম্বর হলো ‘ঢাকা মেট্রো-ঘ ১৬-৬৫২৮’।

রেজিস্ট্রেশনের দিনই (২ ডিসেম্বর) ঢাকা মেট্রো-১ সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক সাবিকুন নাহার গাড়িটির ফিটনেস সনদ অনুমোদন করেন। ফিটনেসের মেয়াদ ২০২৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। ট্যাক্স টোকেনের মেয়াদ এক বছরের জন্য নির্ধারিত হয়েছে, যা আগামী ১ ডিসেম্বর শেষ হবে।

বিল অব এন্ট্রির তথ্যমতে, গাড়িটির সাধারণ ওজন ২ হাজার ৭৯০ কেজি এবং সর্বোচ্চ ওজন ৩ হাজার ৮৫ কেজি।

নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে রাজধানীর তেজগাঁও-গুলশান লিংক রোডে অবস্থিত এশিয়ান ইমপোর্টস লিমিটেডের শো-রুমে গাড়িটি দেখা যায়। তখন শো-রুমের কর্মচারীরা গাড়ির ছবি তোলার অনুমতি দেননি এবং এটি কার জন্য আনা হয়েছে সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

সদ্য নিবন্ধিত এই জিপটি বুলেটপ্রুফ কিনা, তা দালিলিকভাবে নিশ্চিত করা যায়নি। [সূত্র: দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড]

আপনার মন্তব্য

আলোচিত