ডেস্ক রিপোর্ট

১৮ মার্চ, ২০১৬ ১৫:১২

সপ্তাহব্যাপী চিত্রশিল্পী সুলতান মেলা শুরু

শুক্রবার থেকে নড়াইলে শুরু হচ্ছে সপ্তাহব্যাপী সুলতান মেলা। বিশ্ব বরেণ্য চিত্রশিল্পী এসএম সুলতানের ৯১তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী মেলার আয়োজন করা হয়েছে। 

প্রতিবছরের মতো এ বছরও গ্রামীণ খেলাধুলা দিয়ে সাজানো হয়েছে সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠান মালা। সুলতান মঞ্চে শুক্রবার বিকেলে মেলার উদ্বোধন করবেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া এমপি। জেলা প্রশাসক মো. হেলাল মাহমুদ শরীফের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেবেন জেলা পরিষদের প্রশাসক অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস, পুলিশ সুপার সরদার রকিবুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন খান নিলুসহ অতিথিরা।

জেলা প্রশাসন এবং এসএম সুলতান ফাউন্ডেশনের আয়োজনে সংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সহযোগিতায় এবং পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের পৃষ্টপোষকতায় সপ্তাহব্যাপী এ মেলা অনুষ্ঠিত হবে। 

সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, চিত্র প্রদর্শনী, ভলিবল প্রতিযোগিতা, হা-ডু-ডু, কুস্তি, ঘোড়ার গাড়ির দৌড়, আলোচনা সভা, সুলতান পদক প্রদান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণী। মেলা ২৪ মার্চ পর্যন্ত। এ বছর সুলতান পদক প্রদান করা হবে বরেন্য চিত্রশিল্পী আব্দুল মান্নানকে।

বিশ্ব বরেণ্য চিত্রশিল্পী এসএম সুলতান ১৯২৪ সালের ১০ আগস্ট নড়াইলের চিত্রা নদীর পাশে মাছিমদিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মো. মেছের আলি মা মোছা. মাজু বিবি। 

এস এম সুলতান জীবনের মূল সুর-ছন্দ খুঁজে পেয়েছিলেন বাংলাদেশের গ্রামীণ জীবন, কৃষক এবং কৃষিকাজের মধ্যে। আবহমান বাংলার সেই ইতিহাস-ঐতিহ্য, দ্রোহ-প্রতিবাদ, বিপ্লব-সংগ্রাম এবং বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যেও টিকে থাকার ইতিহাস তাঁর শিল্পকর্মকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করেছে। তাঁর ছবিতে গ্রামীণ জীবনের পরিপূর্ণতা, প্রাণপ্রাচুর্যের পাশাপাশি শ্রেণীর দ্বন্দ্ব এবং গ্রামীণ অর্থনীতির হালও অনেকটা ফুটে উঠেছে। তাঁর ছবিগুলোতে বিশ্বসভ্যতার কেন্দ্র হিসেবে গ্রামের মহিমা উঠে এসেছে এবং কৃষককে এই কেন্দ্রের রূপকার হিসেবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

তিনি ছিলেন একজন সুর সাধক এবং বাঁশিও বাজাতেন।

কালোর্ত্তীন এই চিত্রশিল্পী ১৯৮২ সালে একুশে পদক, ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ সরকারের রেসিডেন্স আর্টিস্ট হিসেবে স্বীকৃতি, ১৯৮৬ সালে চারুশিল্পী সংসদ সম্মাননা এবং ১৯৯৩ সালে রাষ্টীয়ভাবে স্বাধীনতা পদক প্রদান করা হয়েছিল। ১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর যশোরের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শিল্পী সুলতান মৃত্যুবরণ করেন।

 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত