সিলেটটুডে ডেস্ক

২৮ এপ্রিল, ২০১৬ ০০:৫৩

প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনায় কলাবাগান হত্যাকাণ্ড

রাজধানীর কলাবাগান হত্যাকাণ্ডে ৭ জন অংশ নেয় বলে জানিয়েছেন বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী পারভেজ মোল্লা। সোমবারের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি জানান, বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ৪ জন জুলহাসের পার্সেল আছে জানানোর পর তিনি অনুমতি নিতে গেলে খুনিরা নিজেরাই গেট খুলে ওপরে চলে যায়।

বুধবার দুপুরে নিহত জুলহাসের বাসার সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পারভেজ মোল্লা।

তিনি বলেন, পার্সেলের বিষয়টি জানানোর জন্য ওপরের দিকে রওনা হই। কিন্তু, গেট লক করে খুনিদের চারজনও তার সঙ্গে ওপরে উঠে যায়।

সেসময় জুলহাস দরজা খুললে ঘাতকদের একজন জানায়, তার নামে পার্সেল আছে। কিছুক্ষণ তাদের সঙ্গে জুলহাসের কথা হয়।

জুলহাস বলেন, তার নামে কোনো পার্সেল আসার কথা নয়। পার্সেল এলেও পার্সেলে কী আছে, সেটা দেখবেন, তারপর পার্সেল গ্রহণ করবেন।

তাদের কথাবার্তা চলার সময় পারভেজ মোল্লা বুঝতে পারেন, জুলহাস কিছু একটা সন্দেহ করছেন। তারও একইরকম সন্দেহ হয়।

জুলহাস তখন বাসার দরজা আটকে দেওয়ার চেষ্টা করলে পার্সেল নিয়ে আসা চারজন বাধা দেয়। জুলহাসের হাত ও কপালে চাপাতি দিয়ে আঘাতও করে তারা।

ঘটনায় হতচকিত পারভেজ তখন ভয়ে নিচে নেমে আসেন।

পারভেজ বলেন, বাসার নিচে গেটের ভেতরের দিকে তখন ২ জন অপেক্ষা করছিল। বাইরে অপেক্ষায় ছিল আরো ১ জন। ভেতরের দিকে থাকা ২ জন গার্ডরুমে বাড়ির আরেক নিরাপত্তা কর্মী সুমন এবং তত্ত্বাবধায়ক রহিমকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রাখে।

হত্যাকাণ্ড শেষে ৪ জন নিচে নেমে আসলে খুনি ৭ জন একসঙ্গেই বেরিয়ে যায়।

কলাবাগান এলাকায় অবস্থিত ৩৫, উত্তর ধানমন্ডির বাসায় সোমবার বিকেলে নিহত হন মার্কিন দূতাবাসের সাবেক প্রটোকল অফিসার ও ইউএসএআইডি’র কর্মকর্তা জুলহাস মান্নান এবং তার বন্ধু নাট্যকর্মী মাহবুব রাব্বী তনয়।

অপরাধীদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে কলাবাগান থানা পুলিশ।

আর ঢাকার পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, মহল বিশেষ পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে রাজধানীতে ভীতিকর অবস্থা সৃষ্টির মাধ্যমে আইন-শৃংখলার অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করছে।

‘একই আদর্শে একই উদ্দেশ্যে ভিন্ন ভিন্ন গ্রুপ একের পর এক হত্যাকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে,’ বলে মনে করছেন তিনি।

তিনি বলেন: পরিকল্পিত খুন যেগুলো এরইমধ্যে হয়েছে সেগুলো ভাবার বিষয়। এটি স্পেশাল অ্যাফোর্ট দেবার বিষয়। তবে তিনি বলেন, কলাবাগানে যে হত্যাকাণ্ড হয়েছে সেখানে সাত মিনিটের মধ্যেই পুলিশ পৌঁছাতে পেরেছে।

সূত্র : চ্যানেল আই অনলাইন

আপনার মন্তব্য

আলোচিত