সিলেটটুডে ডেস্ক

০৪ মে, ২০১৬ ২১:০৫

বাংলাদেশের রিজার্ভ চুরি : ইন্টারপোলের ৬ সদস্য ঢাকায়

বাংলাদেশ ব্যাংকের আট কোটি ১০ লাখ ডলার চুরির ঘটনা তদন্তে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে সহায়তা দিতে ইন্টাপোলের একটি দল বাংলাদেশে এসেছে।

মঙ্গলবার রাতে ইন্টারপোলের ওই ছয় সদস্য ঢাকায় আসেন। বুধবার সকালে তারা মালিবাগ সিআইডি কার্যালয়ে যান। সেখানে সিআইডির উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তারা।

সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহেল বাকি এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘ব্রেড মারডেন নামে এক কর্মকর্তার নেতৃত্বে ইন্টারপোলের দলটি মঙ্গলবার রাতে ঢাকায় আসে। বিশ্বব্যাপী কাজ করছেন তারা। যেহেতু বাংলাদেশে রিজার্ভ চুরির মতো একটি ঘটনা ঘটেছে সেজন্য তারা ঢাকায় এসেছেন,বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন। বাংলাদেশ ছাড়াও ফিলিপাইন,সিঙ্গাপুর ও শ্রীলঙ্কায় কাজ করছে দলটি।’

গত ফেব্রুয়ারির শুরুতে সুইফট সিস্টেম ব্যবহার করে ৩৫টি ভুয়া বার্তা পাঠিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউ ইয়র্ক থেকে প্রায় এক বিলিয়ন ডলার সরানোর চেষ্টা হয়।

এর মধ্যে চারটি মেসেজের মাধ্যমে ফিলিপিন্সের একটি ব্যাংকে সরিয়ে নেওয়া হয় ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার। আর একটি মেসেজের মাধ্যমে শ্রীলঙ্কার একটি ‘ভুয়া’ এনজিওর নামে ২০ মিলিয়ন ডলার সরিয়ে নেওয়া হলেও বানান ভুলের কারণে সন্দেহ হওয়ায় শেষ মুহূর্তে তা আটকে যায়।

রিজার্ভ থেকে অর্থ চুরির ঘটনায় মতিঝিল থানায় গত ১৫ মার্চ দায়ের করা মামলার পর সিআইডি তদন্তের দায়িত্ব নেয়। তদন্ত দায়িত্ব নেওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের কম্পিউটার, সার্ভারে থাকা বেশ কিছু তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়েছে।

এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকে ফিলিপিন্সের পরামর্শক নিয়োগের বিষয় গোপন করায় তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছে সিআইডি।

সিআইডির একজন কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকে আইটি পরামর্শক হিসাবে ২০০৯ এবং ২০১১ সালে ফিলিপিন্সের পৃথক দুটি টিম কাজ করেছে।

“এই তথ্য আমাদের কাছে প্রথম থেকেই আছে। কিন্তু তদন্ত করতে গিয়ে ২-৩দিন আগে জানা গেল ২০১৫ এবং ২০১৬তেও ফিলিপিন্সের আইটি পরামর্শক টিম কাজ করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক এই তথ্যটি আমাদের জানায়নি।”

গত জানুয়ারিতেও ফিলিপিন্সের পরামর্শকদের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের যোগাযোগ হয়েছে জানিয়ে শাহ আলম বলেন, “সিআইডিকে না জানানোর বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে জানতে চাওয়া হবে।”

আপনার মন্তব্য

আলোচিত