সিলেটটুডে ডেস্ক

০৮ মে, ২০১৬ ১৬:০৫

মুক্তিযুদ্ধ,জাতির জনককে অবমাননায় যাবজ্জীবন জেল

মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অবমাননাকর প্রচার-প্রচারণায় উস্কানি কিংবা মদদ দেয়ার দায়ে শাস্তির বিধান রেখে নতুন আইন হচ্ছে।

আইনে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড কিংবা অন্যূন ৩ বছর কারাদণ্ড এবং অনধিক ১ কোটি টাকা  জরিমানা কিংবা উভয় দণ্ডিত করার বিধান সংযোজনের প্রস্তাব করা হেয়েছে। 

প্রস্তাবিত আইনের খসড়ায়  বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তির যদি ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কিংবা আদালত কর্তৃক মীমাংসিত মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক কোনো বিধান নিয়ে কোনো ধরনের প্রপাগান্ডা, প্রচারণা  কিংবা এতে মদদ দেয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হয় তাহলে তাকে এ সাজা দেয়া হবে। 

‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৬’ নামে অভিহিত আইনটির খসড়া মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে রয়েছে। শিগগিরই আইনটি মন্ত্রিসভার অনুমোদনের জন্য তোলা হবে।

একই সঙ্গে প্রস্তাবিত আইনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে অবমাননাকর কিছু প্রচারের প্রমাণ মিললে দায়ী ব্যক্তিকে একই শাস্তি পেতে হবে।

প্রস্তাবিত এ আইনের আওতায় দায়ের করা মামলায় অভিযোগ গঠনের তারিখ হতে সর্বোচ্চ ১৮০ দিনের মধ্যে বিচারকার্য সমাপ্ত করার বিধানও সংযোজন হচ্ছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মামলা নিষ্পন্নে ব্যর্থ হলে তার কারণ জানিয়ে অনধিক আরো ৯০ দিন সময় বাড়াতে পারবেন সংশ্লিষ্ট বিচারক।

মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে অবমাননাকর প্রচারণা কিংবা প্রচারণায় উস্কানির অভিযোগ আমলযোগ্য ও অজামিনযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবে বলে আইনের খসড়ায় উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রস্তাবিত আইনের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে,  যদি কোনো ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে কম্পিউটার, ই-মেইল বা কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, রিসোর্স বা সিস্টেম ব্যবহারের মাধ্যমে এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ সংঘটনে সহায়তা করেন, তা হলে তার উক্ত কার্য হবে একটি অপরাধ। কোনো ব্যক্তি উক্ত অপরাধ সংঘটনে সহায়তা করার ক্ষেত্রে মূল অপরাধটির জন্য যে দণ্ড নির্ধারিত আছে তিনি সেই দণ্ডেই দণ্ডিত হবেন। 

আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, এসব অপরাধের বিচার হবে সাইবার ক্রাইম আদালতে। অর্থাৎ আইনের ৩৪ ধারায় বলা হয়েছে, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন, ২০০৬ অনুযায়ী গঠিত সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনাল ও সাইবার আপিল ট্রাইব্যুনালের বিধান এ আইনেও প্রযোজ্য হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত