সিলেটটুডে ডেস্ক

১৩ মে, ২০১৬ ১৩:৫৪

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাংলাদেশের ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’, সঠিক প্রক্রিয়াতেই ফাঁসি: ভারত

মুক্তিযুদ্ধে মানবতা বিরোধী অপরাধে বাংলাদেশের  শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসি কার্যকরের বিচার প্রক্রিয়াকে সমর্থন জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ভারত। এটিকে বাংলাদেশের ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’ উল্লেখ করে ভারত বলেছে এই বিচারে বাংলাদেশে ব্যাপক জনসমর্থন রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১২ মে) রাত সোয়া ১১টার দিকে এক প্রশ্নের জবাবে মুক্তিযুদ্ধে সহায়তাকারী ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বিকাশ স্বরূপ এক প্রতিক্রিয়ায় জানান,  যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ইস্যুটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে এ বিষয়ে ব্যাপক জনসমর্থন রয়েছে। ১৯৭১ সালে দেশটির স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হয়। চলমান যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রক্রিয়ায় ভারতের সমথর্ন রয়েছে।

শুধু নিজামী নন, অন্য সকল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ সকল আইন অনুসরণ করেছে বলে ভারত মনে করে বলে জানান বিকাশ।

মঙ্গলবার (১০ মে) দিবাগত রাত ১২টা ১০ মিনিটে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে যুদ্ধাপরাধী জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।

মহান মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসির দড়িতে ঝুলতে হয়েছে সে সময়কার ‘মইত্যা রাজাকার’ নামে পরিচিত নিজামীকে। মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর সহযোগী কিলিং স্কোয়াড আলবদর বাহিনীর সর্বোচ্চ নেতা ছিলেন এই নিজামী। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড, হত্যা-গণহত্যা ও ধর্ষণসহ সুপিরিয়র রেসপন্সিবিলিটির (ঊর্ধ্বতন নেতৃত্ব) দায়ে ফাঁসির দণ্ড দেওয়া হয়। অতঃপর তা কার্যকর করা হয়।

স্বাধীনতার ৪৫ বছর পর এটি হচ্ছে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার পঞ্চম ফাঁসির রায় কার্যকর, যার মাধ্যমে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করা হলো জামায়াতের আমির তথা শীর্ষনেতার। এর আগে ফাঁসি কার্যকর হওয়া অন্য চার শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীর মধ্যে তিনজনই জামায়াতের এবং অন্যজন ছিলেন বিএনপির সর্বোচ্চ পর্যায়ের নেতা।

তবে নিজামীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়ায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে পাকিস্তান। এক বিবৃতিতে নিজামীকে পাকিস্তানের 'পরম বন্ধু' আখ্যা দিয়ে তারা বলে, একাত্তরে নিজামী পাকিস্তানের অখন্ডতার জন্য লড়াই করেছেন। এদিকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান এক বিবৃতিএ নিজামীকে নিষ্পাপ আখ্যা দিয়ে ফাঁসির বিরোধীতা করেন। বৃহস্পতিবার এর জেরে ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূতকেও সরিয়ে নিয়েছে তুরস্ক। তুরস্কের ক্ষমতাসীন দলের সাথে বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামীর মতাদর্শগত মিল রয়েছে বলে বিভিন্ন সময় উঠে এসেছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত