সিলেটটুডে ডেস্ক

১৪ মে, ২০১৬ ১০:২৪

রনির বিচারক ম্যাজিস্ট্রেট শিবিরের: ছাত্রলীগ

সংগঠনের নেতা নুরুল আজিম রনিকে কারাদণ্ড প্রদানকারী ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে ছাত্রজীবনে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ করেছে চট্টগ্রাম ছাত্রলীগ।

ভোটের দিন ‘পূর্বপরিকল্পিতভাবে’ তাকে ধরে অস্ত্র, সিল ও টাকা উদ্ধারের কথা বলা হয়েছে বলে দাবি করেছেন সংগঠনটির নেতারা।

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু বলেন, “হাটহাজারীর মির্জাপুর ইউনিয়নের যে ভোটকেন্দ্রের সামনে থেকে রনিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সে ভোটকেন্দ্রে রনি প্রবেশ করেনি।

“শুধু তাই নয় ওই ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারসহ প্রার্থীদের কারো ভোটকেন্দ্রটি নিয়ে কোনো অভিযোগ ছিল না। অস্ত্র, সিল ও টাকা উদ্ধারের যে জব্দ তালিকা ম্যাজিস্ট্রেট করেছে তা ভুয়া।”

গত ৭ মে হাটহাজারীর মির্জাপুর ইউনিয়নের একটি ভোটকেন্দ্রে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রনিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে একটি অস্ত্র ও গুলিসহ নগদ ২৬ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয় বলে দাবি আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর।

ওইদিন রাতেই নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অপরাধে কর্তব্যরত বিচারিক হাকিম রনিকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন। পাশাপাশি হাটহাজারী থানায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা করে পুলিশ।

তার সাজার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ছাত্রলীগ নেতা ইমু বলেন, “রনিকে সাজা দেওয়া হয়েছে একজন এসআই’র মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে। রনি যাদের হেফাজতে ছিল সেই বিজিবি, ওই ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বরত কর্মকর্তা কাউকে সাক্ষী করা হয়নি। ম্যাজিস্ট্রেট হাটহাজারী থানার দুই পুলিশ কর্মকর্তাদের সাক্ষী ও বাদি দেখিয়ে রনির বিরুদ্ধে দুই বছরের সাজা প্রদান করেন।”

সাজা প্রদানকারী ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে শিবির সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হারুনুর রশিদ ১৯৯৯-২০০০ শিক্ষাবর্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আইন অনুষদে ভর্তি হন।

“২০০৬ সাল থেকে তিনি চবি ছাত্রশিবিরের নেতা ছিলেন।”

ম্যাজিস্ট্রেটের পাশাপাশি হাটহাজারী থানার ওসি ইসমাইল হোসেনের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ ছাত্রলীগের।

“তিনি চবির সন্ত্রাসী গ্রুপ হামিদ বাহিনীর সদস্য ছিলেন,” বলেন ইমু।

সরকার ও ছাত্রলীগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে ম্যাজিস্ট্রেট ও ওসির ‘সুপরিকল্পিত চক্রান্তের’ অংশ হিসেবে রনিকে গ্রেপ্তার ও সাজা দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। অবিলম্বে তার মুক্তি দাবি করেন ছাত্রলীগ নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে ছাত্রলীগ বান্দরবান জেলার সভাপতি কাউসার সোহাগ, খাগড়াছড়ি জেলার সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আহমদ, মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সৌমিত্র বড়ুয়া ও একরামুল হক রাসেল উপস্থিত ছিলেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত