সিলেটটুডে ডেস্ক

০৭ জুন, ২০১৬ ১৭:২৮

এমপিওর তদবির করা এক-তৃতীয়াংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘খামোখা’: অর্থমন্ত্রী

ঢালাওভাবে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য এমপিওভুক্তির তদবির করায় সংসদ সদস্যদের সমালোচনা করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

মঙ্গলবার (৭ জুন) জাতীয় সংসদে চলতি অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটের ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, "এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এক-তৃতীয়াংশ খামাখা গড়ে উঠেছে। আমাদের সংসদ সদস্যরা এমপিওভুক্তির বিষয়ে যেভাবে সোচ্চার হন, সেভাবে কেন ভূইফোঁড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সোচ্চার নন সেটা বুঝতে পারি না।"


শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের পক্ষে অর্থমন্ত্রী শিক্ষা মন্ত্রণালয়েরর জন্য বাড়তি অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাব করলে জাতীয় পার্টির এমপিরা বাড়তি বরাদ্দ বাতিলের দাবি জানিয়ে এমপিওভুক্তি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ১৯৮৮ সালে এমপিওভুক্ত ৯ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল। এখন এই সংখ্যা প্রায় ২৮ হাজার, যার এক-তৃতীয়াংশই খামোখা হয়েছে। এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেখানে শিক্ষক চারজন, আর ছাত্র একজন।

আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, একসময় মাধ্যমিক শিক্ষাব্যবস্থা ব্যক্তি উদ্যোগে পরিচালিত হতো। শিক্ষার প্রসারে অনেকে নিজে থেকেই এসব প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতেন।কিন্তু বলতে কষ্ট হচ্ছে, এখন অনেকে এমপিওর লোভে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তৈরি করছেন।

পাঠ্যপুস্তক সম্পর্কে উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, পাঠ্যপুস্তক সম্পর্কে আমার দুঃখ আছে। পাঠ্য বিষয় নিয়ে অনেকে অনেক বক্তব্য রেখেছেন, আমি খুশি হতাম যদি তারা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে লিখিতভাবে পেশ করতেন। আমি নিজেই এ বিষয়ে অনেক মন্তব্য রাখি এবং লিখিত মন্তব্য প্রদান করি। আমার মনে হয়, আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের শিক্ষার দিকে নজর কম দেই। কারণ তাদের যে পাঠ্যবই আছে তার বোঝা যে কত ভারী সেটা যদি সবগুলো একসঙ্গে করেন এবং ঘাড়ে তোলার চেষ্টা করেন তাহলে বুঝবেন। এর মধ্যে কি সব জিনিস আছে সেগুলো একবার দেখা প্রয়োজন।

এর আগে স্বতন্ত্র সদস্য রুস্তম আলী ফরাজী পাঠ্য বইয়ের ভুল ও জাতীয় পার্টির সাংসদ নুরুল ইসলাম মিলন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমপিওভুক্তি নিয়ে ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় কথা বলেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত