সিলেটটুডে ডেস্ক

১০ জুন, ২০১৬ ১৮:৪৩

‘গত রাতেও কথা হয়েছে, সকালে ঘুম থেকে উঠেই মৃত্যু সংবাদ পাই’

পাবনায় ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের সৎসঙ্গ আশ্রমের সেবক নিত্যরঞ্জন পান্ডে হত্যার ঘটনায় গোপালগঞ্জের আড়ুয়াকংশুর গ্রামে তার বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। স্ত্রী দুলু রাণী, ছেলে নন্দ দুলাল, কন্যা নন্দিতা, সন্দিপা পান্ডে ও স্বজনদের কান্নায় এলাকার বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে। তবে এই শোকের মধ্যেই পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা প্রার্থনা করছেন আর যেন কোনও পরিবারকে এরকম সহিংসতার শিকার হতে না হয়।

শোকার্ত গ্রামবাসীও সৎ, নিরীহ নিত্যরঞ্জনের নির্মম হত্যাকাণ্ড মেনে নিতে পারছেন না। তারা এ হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করার পাশাপাশি নিত্যরঞ্জনের খুনিদের খুঁজে বের করে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

শুক্রবার ভোরে নিত্যরঞ্জন পান্ডের হত্যার খরব গ্রামে পৌঁছানোর পরপরই নেমে আসে শোকের ছায়া। নিত্যরঞ্জনের ছেলে স্কুলশিক্ষক নন্দ দুলাল ও মেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সন্দিপা পান্ডে বলেন, আমাদের নিরীহ পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। এভাবে হত্যাকাণ্ড চালিয়ে সম্প্রতি আরও অনেক মায়ের বুক, সন্তানের আশ্রয়, পিতার কোল খালি করা হয়েছে। এসব হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার চাই আমরা। প্রার্থনা করি আর যেন কোনও পরিবারকে এ ধরণের সহিংসতার শিকার হতে না হয়।

নিত্যরঞ্জনের বড় ভাই অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক সত্যরঞ্জন পান্ডে বলেন, ‘নিত্য বিয়ের পরপরই পাবনায় ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের সৎসঙ্গের আশ্রমে যোগ দেয়। সেখানে প্রথমে সে অফিসের কাজ করতো, তারপর ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের আদর্শ প্রচার শুরু করে। এক পর্যায়ে সে ঋত্বিক হয়। দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে নিত্য অনুসারীদের দীক্ষা দিতো। ধান পাট, বাদাম ঘরে তুলতে ও ধর্মীয় উৎসবে যোগ দিতে বছরে ৩/৪ বার নিত্য গ্রামের বাড়িতে আসতো।’

নিত্যরঞ্জনের স্ত্রী দুলু রানী পান্ডে বলেন, ‘গত রাতেও আমার সঙ্গে তার ফোনে কথা হয়েছে। আগামী ৪/৫ দিনের মধ্যেই সে বাড়ি আসতে চেয়েছিল। কিন্তু সকালে ঘুম থেকে উঠেই তার মৃত্যু সংবাদ পাই। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ হত্যার বিচার চাই।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত