সিলেটটুডে ডেস্ক

১০ জুন, ২০১৬ ২১:১৯

মিতু হত্যার তদন্তভার বাবুল আক্তারকে দেওয়ার দাবি

মাহমুদা খানম মিতু খুনের তদন্তভার পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকেই দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন মিতু হত্যার প্রতিবাদ ও খুনিদের গ্রেফতারের দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনের বক্তারা।

শুক্রবার বিকেল ৩টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মিতু খুনের পরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ইভেন্ট খুলে এ মানববন্ধনের প্রচারণা চালানো হয়। কয়েকশ তরুণ-তরুণীসহ নানা বয়সী মানুষ মানববন্ধনে অংশ নেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি বিভাগের অধ্যাপক ড. জিনবোধি ভিক্ষু, সামাজিক সংগঠন ময়ূরাক্ষীর তফজ্জল নিপু, আলো দেখাবোই এর স্বপন মোল্লা, স্বপ্ন ও আগামীর মো. ইব্রাহিম, লিও মেহবুব আলী, ইসমাইল আজাদ, চট্টগ্রাম সাংস্কৃতিক পরিষদের এসএম ফরিদুল আলম, হৃদয়ে বায়ান্ন’র মো. মুবিন, হাটহাজারী কলেজের সাবেক ভিপি খোরশেদ আলম, জাহেদুল ইসলাম, পূর্বাশার আলোর ফয়সাল বিন কাসেম, ডা. আরকে রুবেল, মো. নুরুল হুদা, পুলিশ পরিবারের পক্ষে তারেক আজিজ, শফিক সোহাগ প্রমুখ। সঞ্চালনায় ছিলেন মানববন্ধনের উদ্যোক্তা এহসান বিন দিদার।       

বক্তারা বলেন, 'পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যাকাণ্ডের পর এক সপ্তাহ হতে চলছে অথচ পুলিশ প্রকৃত খুনিদের জাতির সামনে হাজির করতে পারেনি। এর ফলে পুলিশের ওপর জনগণের আস্থা যেমন কমছে তেমনি মানুষের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বাড়ছে। ফলে এ  জনপদের মানুষ বিশ্বাস করে সাহসী পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকেই মিতু হত্যাকাণ্ডের তদন্তভার দিলে প্রকৃত রহস্য যেমন দ্রুত উন্মোচিত হবে তেমনি খুনিরাও ধরা পড়বে।'

তারা অবিলম্বে মিতু হত্যা মামলার তদন্তভার পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে দেওয়ার দাবি জানান।

এদিকে, মানববন্ধন চলাকালে জঙ্গি সন্দেহে মো. ইব্রাহিম নামে এক যুবককে ধরে পুলিশে দিয়েছে জনতা। ওই যুবক রিকশা চালিয়ে বেশ কয়েকবার মানববন্ধনের সামনে দিয়ে ঘোরাফেরা করছিলেন। তার কাছে থাকা একটি ব্যাগ থেকে দুইটি ছোরাসহ একটি মোবাইল পাওয়া গেছে।

কোতোয়ালি থানার ওসি জসীম উদ্দিন বলেন, ‘ফুল প্যান্ট ও গেঞ্জি পরা ওই যুবকের পিঠে ব্যাগ ছিল। রহস্যজনক আচরণ করছিলেন ওই রিকশাচালক। এরপর স্থানীয় কয়েকজন তরুণ তাকে আটক করে টহল পুলিশে দেয়। এসময় ব্যাগ তল্লাশি করে পুলিশ কিছু না পেলেও রিকশার গদির নিচে দুটি ছোরা, একটি পেনড্রাইভ ও একটি দামি মোবাইল পাওয়া যায়।'

ওসি আরও বলেন, 'মো. ইব্রাহিম নিজের বাড়ি টাঙ্গাইল বলে জানালেও অন্যান্য প্রশ্নের উত্তরে অসংলগ্ন কথাবার্তা বলে। তাকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

আপনার মন্তব্য

আলোচিত