স্পোর্টস ডেস্ক

১৩ জুন, ২০১৬ ১৬:১৭

নিরাপত্তার জন্যে অন্য দেশের কাছে আর্জি জানানোর দরকার নেই : তথ্যমন্ত্রী

বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের রক্ষায় প্রতিবেশী কোনো রাষ্ট্রনায়কের কাছে ‘আর্জি জানানোর দরকার নেই’ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, এজন্য বর্তমান সরকারই ‘যথেষ্ট’।

তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য অন্য কোনো দেশ বা সরকারের সহায়তা চাওয়ার প্রয়োজন নেই। দেশে চলমান চক্রান্তের অংশ হিসেবে সাধারণ নাগরিক ছাড়াও সংখ্যালঘুদের গায়ে হাত দেওয়া হচ্ছে। এটা সরকারকে বিব্রত করার জন্য করা হচ্ছে। তবে এর ফলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হয়নি।

সোমবার (১৩ জুন) দুপুরে তথ্য অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে সাংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন। দেশের চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে দেশবাসীকে অবহিত করতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

ভারতের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা পিটিআইয়ের একটি সংবাদে বলা হয়, বাংলাদেশের হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ দেশটির সংখ্যালঘুদের রক্ষার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সহায়তা কামনা করেছেন। এ বিষয়ে মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি এসব কথা বলেন।

হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের এক নেতা ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (এফডিসি) সাবেক এক ব্যবস্থাপনা পরিচালককে উদ্ধৃত করে পিটিআইর প্রকাশিত ওই খবর রোববার প্রচার করে ভারতীয় সংবাদপত্রগুলো।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, এ দেশে ২০ হাজারে বেশি মন্দির আছে। সেখানে সুন্দরভাবে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন করা হচ্ছে। সরকারের অবস্থানও নীতিগতভাবে অসাম্প্রদায়িক। সরকার ২৪ ঘণ্টা জেগে আছে। জেগে আছে বলেই বিএনপি-জামায়াতের ৯৩ দিনের আগুন-সন্ত্রাস বন্ধ করতে পেরেছে। হেফাজতের তাণ্ডব মোকাবিলা করতে পেরেছে। ৫ জানুয়ারির নির্বাচন সম্পন্ন করতে পেরেছে।

তিনি বলেন, এখনকার গুপ্তহত্যা ধীরস্থিরভাবে বন্ধের চেষ্টা চলছে। সরকারের গায়ে হাত দিতে না পেতে তারা সাধারণ নাগরিকদের গায়ে হাত দিচ্ছে। এ জন্য সরকার দুঃখিত। কিন্তু কেউ পার পাবে না।

মন্ত্রী নিজের নাম উল্লেখ করে বলেন, তাঁকেও যদি হত্যা করা হয়, তাহলেও কেউ পার পাবেন না। তাঁকে কাফনের কাপড় পাঠানো সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘জীবনে বহুবার মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছি। মৃত্যুকে ভয় পাই না।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত