১৮ জুন, ২০১৬ ২৩:২৭
মাদারীপুরে এক কলেজ শিক্ষককে হত্যাচেষ্টায় অভিযুক্ত গোলাম ফাইজুল্লাহ ফাহিমের ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহতের ঘটনায় তিনটি মামলা হয়েছে। শনিবার মাদারীপুর সদর থানায় মামলাগুলো দায়ের হয়।
ঐ থানার ওসি জিয়াউল মোর্শেদ জানান, 'তিনটির একটি হত্যা মামলা এবং বাকি দুটি পুলিশকে আহত ও অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় করা হয়েছে।'
শনিবার সকালে মাদারীপুর সদর উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের মিয়ারচর গ্রামে পুলিশের কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় ফাহিম।
এরপর দুপুরে মাদারীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার শশাঙ্ক ঘোষসহ তিন সদস্যের বিশেষ টিম তার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে।
এদিকে শনিবার সন্ধ্যায় ফাহিমের লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সন্ধ্যা ৭টার দিকে মাদারীপুর সদর হাসপাতাল থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের সমাদ্দার এলাকায় তার বাবা গোলাম ফারুকের কাছে লাশ হন্তান্তর করা হয়।
এর আগে বিকেল ৪টার দিকে সদর থানায় আসেন ফাহিমের বাবা-মা। এ সময় গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে তাদের কথা বলতে দেয়নি পুলিশ।
গত বুধবার মাদারীপুরে সরকারি নাজিম উদ্দিন কলেজের গণিতের প্রভাষক রিপন চক্রবর্তীর উপর হামলার পর ঘটনাস্থল থেকে ফাহিমকে ধরে পুলিশে দেয় জনতা।
শনিবার সকালে সদর উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের মিয়ারচরে জঙ্গিদের সঙ্গে পুলিশের ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এই তরুণ নিহত হয় বলে দাবি করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছিল আদালত।
ফাহিমকে গ্রেপ্তারের পর তাকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকার উত্তরার বাসাসহ কয়েকটি স্থানে অভিযান চালানোর কথা জানিয়েছিলেন পুলিশ কর্মকর্তারা।
জিজ্ঞাসাবাদে শিক্ষকের ওপর হামলায় জড়িত অন্য পাঁচজনের নাম তিনি জানিয়েছিলেন দাবি করে পুলিশের পক্ষ থেকে ওই ঘটনায় ছয়জনকে আসামি করে একটি মামলা আগেই করা হয়েছে।
আপনার মন্তব্য